ডিএসইএক্স বেড়েছে ১১১ পয়েন্ট, বড় ধরনের উত্থান সিএসইতেও

টানা তিন দিন দরপতনের পর সূচকের বড় ধরনের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। আজ মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১১১ পয়েন্ট। তবে সূচক বাড়লেও লেনদেনের পরিমাণ গতকাল সোমবারের চেয়ে আরও কমেছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৯৮ পয়েন্ট।

এর আগে গত তিন কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক কমে ১৬৭ পয়েন্ট। গতকাল এই সূচক ৬৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে নেমে যায়। ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বরের পর এটিই সর্বনিম্ন অবস্থান। ওই দিন ডিএসইএক্স সূচকটি ৪ হাজার ৯৫৭ পয়েন্টের অবস্থানে ছিল। এক দিনেই ৪ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয় শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের। অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে সার্বিক সূচকটি কমে ২০০ পয়েন্ট বা সোয়া ১ শতাংশ।

তবে আজ আবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩১৭ কোটি টাকা। গতকাল এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৬৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আজ হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৭টির, কমেছে ১৫টির, অপরিবর্তিত আছে ৯টির দর।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো ফরচুন, সিনোবাংলা, স্কয়ার ফার্মা, ডরিন পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বেকন ফার্মা, ন্যাশনাল পলিমার, ব্র্যাক ব্যাংক, সি পার্ল ও মুন্নু সিরামিকস।

মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো আজিজ পাইপস, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড, এসইএমএল আইবিবিএল শরীয়াহ ফান্ড, অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড, সিএএমপি আইবিবিএল ইসলামিক ফান্ড, এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, কে অ্যান্ড কিউ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ও অ্যাপেক্স ফুডস।

অন্যদিকে, সিএসইতে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৩টির, কমেছে ৩৮টির, অপরিবর্তিত আছে ১৩টির দর।

গত ৩০ জুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত মাত্র ১৫ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। শেয়ারের মূল্যমান কমে যাওয়ায় প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা থেকে ডিএসইর বাজার মূলধন নেমে এসেছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকায়। এর মধ্যে গতকাল এক দিনেই ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্যমান ৪ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা কমে বাজার মূলধন নেমে এসেছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকায়। লেনদেনযোগ্য শেয়ারসংখ্যার সঙ্গে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারের বাজারমূল্যের গুণফলই বাজার মূলধন। বাজার মূলধনের পাশাপাশি একই সময়ে ডিএসইএক্স সূচকটি প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ বা ৪৫৬ পয়েন্ট কমে গেছে।