এক হাজার ডলার রেমিট্যান্সে প্রণোদনার প্রস্তাব

এক হাজার ডলার প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এলে তাৎক্ষণিক ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বেশি রেমিট্যান্স এলে নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে, এরপরই টাকা ছাড় হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এমন একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ বুধবার মুদ্রানীতি প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর ফজলে কবির। আগে ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হলেও এবার থেকে পুরো অর্থবছরের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

নতুন মুদ্রানীতিতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। গত জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। আর আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ২৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। গত জুন পর্যন্ত সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ১ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি নির্ধারণী সুদ হারে কোনো পরিবর্তন আনেনি।

মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বর্তমান মুদ্রানীতি কৌশল থেকে একটি সুবিবেচিত নীতি সুদ হারে খোলাবাজার কার্যক্রমে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে তারল্য জোগান দিয়ে বা উত্তোলন করে সুদ হারের ক্ষেত্রে সরাসরি প্রভাব পড়বে। এতে মুদ্রানীতির কার্যকারিতা আরও বাড়বে। মধ্যম ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে এমন কৌশল ব্যবহার হচ্ছে বলে গভর্নর জানান।