চামড়ার সব বর্জ্য ক্ষতিকর নয়: শিল্পসচিব

চামড়াশিল্প নগরে উৎপাদিত সব বর্জ্য ক্ষতিকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম। তিনি বলেন, ক্রোমিয়াম ব্যবহারের আগে উৎপাদিত বর্জ্য নিরাপদ। এসব বর্জ্য বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা যায়। এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

সাভারের চামড়াশিল্প নগরে আজ বুধবার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় শিল্পসচিব এসব কথা বলেন। বিসিক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

চামড়াশিল্প নগরের কঠিন বর্জ্য ফেলার জন্য তিনটি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে উল্লেখ করে শিল্পসচিব বলেন, ২০২০ সালের জুনের মধ্যে চামড়াশিল্প নগরের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। উল্লেখ্য, চামড়াশিল্প নগর প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৩ সালে প্রকল্প নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। সেটি এখনো পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি।

মতবিনিময় সভায় শিল্পসচিব আরও বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ মজুত আছে। তাই আসন্ন ঈদুল আজহায় লবণের মূল্য বাড়বে না। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এ বছর ১ লাখ ১৭ হাজার পশু কোরবানি হতে পারে। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী চামড়া সংরক্ষণের জন্য কোরবানির সময় তাৎক্ষণিকভাবে ৮২ হাজার টন লবণ প্রয়োজন হবে এবং বছরে বাকি সময় মোট ১ লাখ টন লবণ প্রয়োজন হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২০১৮-১৯ লবণ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি, মোট ১৮ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত। শিল্পসচিব বলেন, চাষি, মিলমালিক ও সরবরাহকারীদের কাছে বর্তমান ৯ দশমিক ২২ লাখ টন লবণ মজুত আছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পসচিব বলেন, ২০০ একর জায়গার ওপর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য সংশ্লিষ্ট সংযোগ শিল্প স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত উল্লাহ, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মো. দিলজাহান ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু ইউসুফ, চামড়াশিল্প নগরের প্রকল্প পরিচালক জিতেন্দ্রনাথ পাল প্রমুখ।