চীনকে 'কারেন্সি ম্যানিপুলেটর' বলল যুক্তরাষ্ট্র

চীনকে ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেটর’ বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
চীনকে ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেটর’ বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

এবার আনুষ্ঠানিকভাবে চীনকে ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেটর’ বলে আখ্যায়িত করল যুক্তরাষ্ট্র। আর এতে দেশ দুটির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ যে আরও উসকে গেল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

মার্কিন ডলারের বিপরীতে চীনের মুদ্রা ইউয়ানের দর অনেক কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর এই ঘোষণা দিল। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চীন সরকারের হস্তক্ষেপেই এই দর কমানো হয়েছে।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার বাণিজ্য আলোচনার মধ্যেই ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্য আমদানিতে নতুন করে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাব দেওয়া হবে বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছিল চীন।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাবে চীনের পদক্ষেপকে ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেটর’ বলে আখ্যায়িত করেছে ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাবে চীনের পদক্ষেপকে ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেটর’ বলে আখ্যায়িত করেছে ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

গতকাল সোমবার ১ ডলার সমান ৭ ইউয়ান হয়, যা ২০০৮ সালের পর ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের সবচেয়ে বেশি অবমূল্যায়ন। আর এরপরই এক টুইটে চীনের বিরুদ্ধে মুদ্রার অন্যায্য সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ করেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, চীন যে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অন্যায্য সুবিধা নিচ্ছে, তা বন্ধ করতে অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানচিন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে কাজ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাবে চীনের এমন পদক্ষেপ বলে ধারণা করা হলেও ট্রাম্প বরাবরই চীনকে ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেটর’ বলে আখ্যায়িত করে আসছেন। ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই চীনের বিরুদ্ধে অন্যায্য সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ তুলে আসছেন ট্রাম্প।

অর্থনীতির তত্ত্ব বলে, অবমূল্যায়ন হলে রপ্তানি বাড়ে। আর অতিমূল্যায়ন হলে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি চীন তাদের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে প্রায়ই ইউয়ানের অবমূল্যায়ন ঘটায়। অন্যদিকে, এক নম্বর অর্থনীতির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট শক্তিশালী থাকায় দেশটির ডলারও তেজি। ফলে, চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অনেক দেশকেই ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান কমাতে হয়।