বেতন-ভাতার দাবিতে পিপলস লিজিংয়ের কর্মকর্তাদের মানববন্ধন

বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা চাকরি থেকে ছাঁটাই বন্ধ, গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা পরিশোধসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বুধবার প্রতিষ্ঠানটির অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী মানববন্ধনে অংশ নেন। এরপর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা বলেন, ২০১৪ সালেও পিপলস লিজিং শেয়ারধারীদের বোনাস দিয়েছিল। ২০১৬ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নতুন আমানত আনা হয়েছে। পিপলস লিজিংয়ে যা অনিয়ম হয়েছে, এর কোনোটাই বাংলাদেশ ব্যাংকের অগোচরে ঘটেনি। কারণ প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছিল।

কর্মকর্তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হারুন উর রশীদ ও ব্যবস্থাপক মালিক মোহাম্মদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর্মকর্তা ইসমত আরা, জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পিপলস লিজিংয়ের ১৭৮ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী গত জুন থেকে কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। আদালত যে অবসায়ক নিযুক্ত করেছেন, তিনিও কোনো সমাধান দিতে পারছেন না।

আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে না পারায় গত মাসের শুরুতে পিপলস লিজিংকে অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে আদালতের আদেশে অবসায়ক নিযুক্ত হয়। এখন চলছে প্রতিষ্ঠানটির দায়-দেনার হিসাব–নিকাশ। কার্যক্রম শুরুর ২২ বছরের মধ্যে এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, দেখভালের দায়িত্বও ছিল এ সংস্থাটির।