আপনারা কি চান এ ধরনের গুজব চলুক: অর্থমন্ত্রী

আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি
আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) জন্য আরও একটি ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর কেনা হবে। এটি কেনা হবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে। এ জন্য গণখাতে ক্রয় বিধিমালা (পিপিআর) শিথিল করা হয়েছে।

ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর ব্যবহারে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণের দিকটি বিঘ্নিত হয় বলে এক ধরনের সমালোচনা রয়েছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না। এটার দরকার। যেভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়ে! ভয়াবহ! কয়েক দিন আগে যেমন পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের মাথা লাগার গুজব ছড়িয়ে পড়ল। আপনারা কি চান এ ধরনের গুজব চলুক?’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এ-বিষয়ক একটি প্রস্তাব আজ বুধবার অনুমোদন করেছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৫ মে প্রস্তাবটি একই বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও তখন অনুমোদন করা হয়নি। কমিটি তখন কিছু বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব উপস্থাপন করতে জননিরাপত্তা বিভাগকে পরামর্শ দিয়েছিল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এটি ব্যবহৃত হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এর আগে আরেকটি কেনা হয়েছিল।

এটা দিয়ে কী করা হবে? জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না। কাকে কাকে খুঁজে বের করবে। যেহেতু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেউ এখানে নেই, তাই মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’

সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে গেলে দাম বেশি পড়ে কি না? জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, সব জিনিস উন্মুক্ত দরপদ্ধতিতে কেনা যাবে না। বিশেষ করে যেগুলো জাতীয় উচ্চ নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত।

অন্য দেশেও সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি প্রচলিত কি না? জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জানি না। বিশ্লেষণ করিনি। আপনাদের কেউ জানলে বলতে পারেন।’