এবার ঈদে খরচ বেশি

পবিত্র ঈদুল আজহায় কাঁচাবাজারে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ঈদুল ফিতরের তুলনায় এখন বাজারে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বেশ চড়া। ঈদুল আজহায় এসব পণ্য বেশি কিনতে হয়, তাই চাপটাও বেশি।

ঈদুল ফিতরের কয়েক দিন আগে ঢাকার বাজারে চীনা রসুনের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১২০ টাকা, যা এখন ১৭০-১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে চড়া চীনা আদার দামও। ১২০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে তা ১৫০-১৬০ টাকায় উঠেছে। ৩০ টাকার দেশি পেঁয়াজ কিনতে এখন লাগছে ৪৫ টাকা।

বেশ বাড়তি এলাচি ও দারুচিনির দাম। মাঝারি মানের প্রতি ১০০ গ্রাম এলাচি কিনতে লাগছে ২৮০ টাকা, যা ঈদুল ফিতরে ২২০ টাকা ছিল। ১০০ গ্রাম দারুচিনি কিনতে লাগত ৩৫ টাকা, সেটা এখন ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

ঈদুল ফিতরের পর বাড়তে বাড়তে এসব পণ্যের দাম এখনকার অবস্থায় পৌঁছেছে। বিক্রেতারা আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে দাম বেড়েছে বলে উল্লেখ করছেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল মার্কেট, পশ্চিম আগারগাঁও কাঁচাবাজার, কাজীপাড়া ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। টাউন হল মার্কেটের দীপক স্টোরের বিক্রেতা পলাশ পাল প্রথম আলোকে বলেন, গরমমসলার মধ্যে শুধু এলাচি ও দারুচিনির দাম বেড়েছে। বাকিগুলো আগের মতোই আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম গোলমরিচ ও লবঙ্গ ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি জিরা মানভেদে ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

টাউন হল মার্কেটে দেশি রসুন ১৪০ টাকা, থাইল্যান্ডের আদা ১৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। একই বাজারে ভালো মানের খোলা সুগন্ধি চাল কেজিপ্রতি ১০০ টাকা ও প্যাকেটজাত সুগন্ধি চাল ১১০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।

পশ্চিম আগারগাঁও কাঁচাবাজারে দেখা যায়, বিভিন্ন কোম্পানির ঘিয়ের কৌটাপ্রতি ৪০০ গ্রাম ৪২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি শসা ৬০ টাকা চাওয়া হয়। অবশ্য দেশি শসার কেজি ৮০-১০০ টাকা। টমেটো কেজিপ্রতি ১০০-১২০ টাকা। ঈদের দিন পুডিং বানাতে ডিম কিনতে হবে ১১০ টাকা ডজন দরে।

সব মিলিয়ে ঈদুল আজহায় প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বেশির ভাগের দামই চড়া। টাউন হল মার্কেটের ক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, ইলিশের দাম সামান্য কমেছে। মাঝারি ইলিশ ৮০০ টাকা কেজিতে কেনা যাচ্ছে।