বাদশাহ নজর কেড়েছে সবার

বগুড়ার সান্তাহারের রাধাকান্ত হাটে বিক্রির জন্য আনা এই ষাঁড়ের নাম বাদশাহ। এর দাম আট লাখ টাকা হেঁকেছেন মালিক।  ছবি: প্রথম আলো
বগুড়ার সান্তাহারের রাধাকান্ত হাটে বিক্রির জন্য আনা এই ষাঁড়ের নাম বাদশাহ। এর দাম আট লাখ টাকা হেঁকেছেন মালিক। ছবি: প্রথম আলো

বিশাল দেহ। ওজন প্রায় ২০ মণ। নাম বাদশাহ। বলা হচ্ছে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা একটি ষাঁড়ের কথা। এটি ব্রাহামা জাতের গরু। মালিক দাম হেঁকেছেন আট লাখ টাকা। 

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে এটি বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার হাটের উত্তর অংশে এই গরু দেখার জন্য ছিল ক্রেতা–বিক্রেতাদের ভিড়। গরুর মালিক তাঁর এই গরুর নাম রেখেছেন বাদশাহ। বাদশাহকে ঘিরে ছিল মানুষের ব্যাপক আগ্রহ।

বগুড়ার সান্তাহারের রাধাকান্ত হাট এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় কোরবানির হাট। প্রতিবছর উত্তরাঞ্চলের এই কোরবানির হাটে ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসেন প্রচুরসংখ্যক গরু। এ বছরও এ হাটে অনেক বড় জাতের গরু আমদানি হলেও বাদশাহ সবার নজর কেড়েছে। বাদশাহর মালিক সেলিম রেজা পেশায় ধান-চাল ব্যবসায়ী। ধান চালের ব্যবসার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। তাঁর খামারে ব্রাহামা জাতের ১১টিসহ মোট ৪০টি গরু আছে। এই মুহূর্তে বিক্রির জন্য প্রস্তুত আছে ২টি ব্রাহামা জাতের ষাঁড়।

সেলিম রেজা বলেন, টেক্সাসের ব্রাহামা জাতের এই গরুর বয়স মাত্র ২৮ মাস। হাটে এই গরুর দাম ৮ লাখ টাকা চাওয়া হলেও ক্রেতারা দাম বলেছেন ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এ দামে গরু বিক্রি করতে নারাজ তিনি (সেলিম রেজা)। বিক্রি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে বাদশাহ ফিরে গেছে তাঁর খামারে।

গরু পালন করার বিষয়ে সেলিম রেজা জানান, ব্রাহামা জাতের একটি গরু পালনে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হয়। এই সব গরুর খাবার হিসেবে প্রতিদিন নেপিয়ার ঘাস, শুকনো খড়, খুদের ভাত দেওয়া হয়। এ জাতের গরু পালনে আলাদা যত্নœনিতে হয়। ২–৩ জন শ্রমিক প্রতিদিন গরুর পরিচর্যার দায়িত্বে থাকেন।

ঈদের তো আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, চাহিদা অনুযায়ী গরু বিক্রি করতে না পারলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে গরুর মালিক সেলিম রেজা বলেন, এই ঈদে বাদশাহকে বিক্রি করতে না পারলে আরও এক বছর লালন–পালন করবেন। খামারে রেখে দেবেন।

সান্তাহার রাধাকান্ত হাটের ইজারাদার রাশেদুল ইসলাম বলেন, বাদশাহ হাটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। বড় জাতের গরুর মালিকেরা এখন চরম বিপাকে রয়েছেন। বাদশাহসহ অন্যান্য বড় জাতের গরুর ক্রেতা মিলছে না। তিনি আরও বলেন, তাঁর নিজের খামারে বর্তমানে ৫০টি বিক্রিযোগ্য গরু রয়েছে। কিন্তু একটি গরুও বিক্রি হয়নি।