উদ্বেগে বিশ্ব পুঁজিবাজারে বড় পতন

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।

গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের প্রধান তিনটি সূচক কমেছে ৩ শতাংশ। বড় ধরনের দরপতন দেখেছে ইউরোপের পুঁজিবাজারও। আজ বৃহস্পতিবার নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন হচ্ছে এশিয়ার পুঁজিবাজারে।

জার্মানি ও চীনের অর্থনীতিতে ফাটল ধরেছে—এমন শঙ্কায় ভিড় বাড়ছে বন্ড ও স্বর্ণের বাজারে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেই যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থনীতি শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যথেষ্ট সচেষ্ট না—ট্রাম্পের এমন অভিযোগ ব্যাংকটিকে চাপে রেখেছে। এসব কারণে আস্থা হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

আর্থিক সেবা খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ব্রুডারম্যানের বাজার বিশ্লেষক অলিভার পারশে মনে করেন, বৈশ্বিক চিত্র এখন অনিশ্চিত। হংকংয়ে বিক্ষোভ, যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট, বাণিজ্যযুদ্ধ ইত্যাদি একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। বিশ্বের প্রতিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেষ্টা করছে বটে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিকে ধ্বংসের চেষ্টা করছেন।

গতকাল সরকারি তথ্যে দেখা যায়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে জার্মানির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সংকুচিত হয়েছে। চীনের শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি গত ১৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে এসেছে। এসব তথ্য ইতিমধ্যে ইউরোপের বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০ সূচকটি কমেছে ১ শতাংশ। অন্যদিকে, জার্মানি ও ফ্রান্সের পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে ২ শতাংশ করে।

আজ লেনদেনের শুরুতে জাপানের প্রধান সূচক নিকেই-২২৫ কমেছে ২ শতাংশ। হংকংয়ের হ্যাংসেং কমেছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। অবশ্য কিছুক্ষণ পর সূচক দুটি কিছুটা বাড়তে দেখা যায়।

এ ছাড়া বন্ডবাজার থেকে মন্দার বিষয়ে যে সতর্কতা দেওয়া হচ্ছে, তাও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি তৈরি করছে। কোন বন্ডে বিনিয়োগ করা কতটা বুদ্ধিমানের কাজ, তা বিচার করতে তার সম্ভাব্য ইল্ড-ই অন্যতম মাপকাঠি। ২০০৭ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইল্ডের হার সবচেয়ে কম। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, নিরাপত্তার জন্য কম ইল্ডেও দীর্ঘ সময় ধরে বন্ড হাতে রাখতে চাইছেন বিনিয়োগকারীরা। সাধারণত দীর্ঘ সময় বন্ড হাতে রাখতে ইল্ডের হার বেশিই চান বিনিয়োগকারীরা। আর ঐতিহাসিকভাবে দেখা গেছে, বন্ডের এমন চিত্র মন্দার দিকটিই নির্দেশ করে।