দুই মহারথীর বাণিজ্যযুদ্ধে যেন বিরতি নেই

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন—দুই মহারথীর বাণিজ্যযুদ্ধে যেন কোনো বিরতি নেই। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, চীন থেকে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। দুই দফায় এই শুল্ক বসবে। সে অনুযায়ী, গতকাল শনিবার প্রথম দফায় ১১২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানিতে শুল্ক বসিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

জবাবে বেইজিং মার্কিন অপরিশোধিত তেলের ওপর শুল্কারোপ করেছে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এই প্রথম জ্বালানিকে লক্ষ্যবস্তু করা হলো।

দ্বিতীয় দফায় শুল্ক আরোপ হলে প্রায় সব পণ্যেই শুল্ক বসবে। চীন থেকে আমদানি করা মোট সাড়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ট্রাম্পের এই শাস্তিমূলক শুল্কের আওতায় আসবে।

চীনের ভাষ্য, ‘অন্যায্য বাণিজ্যের’ কথা বলে যে বিরোধ শুরু হয়েছিল, তা দিন দিন ভূ-রাজনৈতিক শক্তির লড়াইয়ে রূপ নিচ্ছে।

এখন পর্যন্ত চীন থেকে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানিতে শুল্ক কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত মেধাস্বত্ব অধিকার, শিল্প খাতে ভর্তুকি, বাজারে প্রবেশের সুবিধা—এসব নীতি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিতেই এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

বরাবরই বেইজিং দাবি করছে, তারা কোনো অন্যায্য বাণিজ্য সুবিধা নেয় না। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ১১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে।

আর এই দীর্ঘমেয়াদি বিরোধের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দ্বন্দ্বে লিপ্ত দুই দেশসহ সারা বিশ্বে।