আরও বাংলাদেশি পণ্য চায় ফিলিপাইন

বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী ফিলিপাইন। অন্যদিকে তারা চায়, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও সে দেশে বিনিয়োগ করুক।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ফিলিপাইন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ বিষয়টি উঠে আসে। ঢাকার মতিঝিলে গতকাল সোমবার ডিসিসিআই কার্যালয়ে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। 

বাংলাদেশ-ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিপিসিসিআই) সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনারে ফিলিপাইনের কৃষি ও শাকসবজি, চা, পানীয়, ওষুধ, প্রসাধনী ও মোড়কীকরণ যন্ত্র খাতের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। 

ফিলিপাইনের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহকারী পরিচালক এগনেস পারপেচুয়া লেগাসপির নেতৃত্বে ঢাকা সফর করছে প্রতিনিধিদলটি। ডিসিসিআই এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। 

 ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল সাড়ে ছয় কোটি মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা। তিনি বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন, প্যাকেজিং, তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস এবং পর্যটন খাতের উন্নয়নে ফিলিপাইনের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তৈরি পোশাক, ওষুধ ও সিরামিক খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উন্নয়নে ঢাকা ও ম্যানিলার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই, একক পণ্যমেলা আয়োজন এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আসা-যাওয়ার ওপর জোর দেন। 

ফিলিপাইনের কমার্শিয়াল এটাচি জেরিমায়া সি রাইয়েদ বলেন, ‘বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধ আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য একদিকে যেমন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, অন্যদিকে ঝুঁকিও বেড়েছে।’ 

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেন্টি ভিভেনসিও টি বান্ডেলিওর পক্ষে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স লি মার্কো সি ভিদাল। রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইন আরও বেশি পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী বলে জানানো হয়। 

ফিলিপাইনের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহকারী পরিচালক এগনেস পারপেচুয়া লেগাসপি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফিলিপাইনের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) রয়েছে। এ সুযোগ নিতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা ফিলিপাইনে বিনিয়োগ করতে পারেন। 

বাংলাদেশ-ফিলিপাইন চেম্বারের সভাপতি আকবর হাকিম সামনের দিনগুলোতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করে
বলেন, বৈশ্বিক জিডিপিতে এশিয়ার অবদান ৪২ শতাংশ। সেমিনারে ডিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, ইমরান আহমেদ, পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।