জিপি-রবির লাইসেন্স বাতিল কেন নয়, জানতে চেয়ে চিঠি

দুই মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের পাওনা আদায়ে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সংস্থাটি গ্রামীণফোন (জিপি) ও রবি আজিয়াটাকে চিঠি দিয়ে তাদের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিটিআরসি এই চিঠি দেয় বলে জানান সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. জাকির হোসেন খান। চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে হবে। এতে দুই অপারেটরের টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ওপর নিরীক্ষা করে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করছে বিটিআরসি। রবির কাছে দাবি করা হচ্ছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ অর্থের মধ্যে বিলম্বের মাশুল ও সুদও ধরা আছে।

বিটিআরসি গত ৪ জুলাই ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা পাওনার আদায়ের পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবি আজিয়াটা বারহাদের ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পরে তা আবার খুলে দিলেও দুই অপারেটরের প্যাকেজ অনুমোদন, টাওয়ার স্থাপন, সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিটিআরসি বলছে, জনগণের পাওনা টাকায় ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের আইনে এ বিষয়ে সালিসেরও কোনো সুযোগ নেই। অবশ্য অপারেটরেরা পাওনা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে। বিষয়টি সুরাহার জন্য তারা সালিসের নোটিশ দিয়ে বিটিআরসির কাছ থেকে সাড়া পায়নি।