প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাহাদুরির কিছু নেই: মইনুল ইসলাম

মইনুল ইসলাম
মইনুল ইসলাম

৮ দশমিক ১৩ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে বাহাদুরি করার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মইনুল ইসলাম।

বাহাদুরি না করার কারণ হিসেবে অধ্যাপক মইনুল বলেন, এই প্রবৃদ্ধির হার সত্ত্বেও দেশে বৈষম্য বাড়ছে। বাংলাদেশ এখন একটি ‘উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশে’ পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আয়োজনে ‘বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্য: সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় মইনুল ইসলাম এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ শনিবার দুপুরে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।

প্রবন্ধে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ অর্জিত হয়েছে বলে সরকারিভাবে প্রাক্কলিত হয়েছে। এ বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম গতিশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু দেশে আয়বৈষম্য বাড়ছে ব্যাপক হারে। আয়বৈষম্য বাড়তে থাকার এ প্রবণতাকে দেশের আসন্ন মহাবিপৎসংকেত বললে অত্যুক্তি হবে না।

সাড়ে তিন দশক ধরে সর্বশক্তি দিয়ে এ বিষয়ে জাতির মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন—এ কথা উল্লেখ করে মইনুল ইসলাম বলেন, দেশে কোটিপতিদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এর পেছনে ন্যক্কারজনক পন্থা হলো দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হওয়া। এমন কোনো সরকারি সংস্থার নাম করা যাবে না, যেটা খানিকটা দুর্নীতিমুক্ত। এ ছাড়া বর্তমান জাতীয় সংসদে সাংসদদের ৬২ শতাংশই ব্যবসায়ী। এ সংসদ ব্যবসায়ীদের সংসদ এবং রাজনীতি এখন লোভনীয় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সম্প্রতি বলেছেন, চলতি মূল্যপদ্ধতিতে ২০০৯ সাল থেকে ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বে শীর্ষ স্থান অধিকার করে আছে।
গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বে শীর্ষ স্থান অধিকার করে আছে বলে ‘স্পেকটেটর ইনডেক্স’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর উদ্ধৃতি দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অঙ্গনে শিগগির জোরালো উদাহরণ স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।