চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোডে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে (বিআরআই) বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। তবে প্রকল্প বাছাই ও বাস্তবায়ন, বিনিয়োগ, ঋণের শর্ত- এসব বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার। নতুন বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় চীনের অবস্থান মেনে নিতে হবে।

আজ চীনের বিআরআই নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর এক হোটেলে এই সংলাপ হয়।

প্রথম অধিবেশনে সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, চীন বর্তমানে বিশ্ববাণিজ্যের নেতৃত্বে আছে। এর সঙ্গে অন্য দেশের সমন্বয় করে চলতে হবে। এটি এখন বিশ্ব অর্থনীতির নতুন ব্যবস্থা। এটা যেন উপনিবেশবাদের মতো না হয়, এটা যেন অংশীদারত্বের ভিত্তিতে হয়। এতে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার সুযোগ আরও বাড়বে।

পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ববাণিজ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক, ইউরো-এশিয়া ও বিআরআই উদ্যোগ আছে। আমরা সব উদ্যোগের সঙ্গে যাব। কোনো ক্ষতিকর কিছুর সঙ্গে থাকব না। যখন আমরা এসব নিয়ে দর–কষাকষি করব, তখন জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেব।’

সংলাপে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মঞ্জুর এলাহী বলেন, ‘আমরা বাজার চাই, এটা সত্য। কিন্তু সবকিছু যাচাই–বাছাই করে নেওয়া উচিত।’

সকালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, এ দেশের অবকাঠামো, জ্বালানি খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা লাগবে। বিআরআই এই সুযোগ নেওয়ার ফোরাম হতে পারে। ওই সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। সংলাপে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও নেপালের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।