যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৫৩ শতাংশ

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ইতিবাচক ধারাতেই আছে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৩৫৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে এক বছর ধরে মার্কিন ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বেশি আসছে বাংলাদেশে। গত বছর ৫৪০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। চলতি বছরের ৭ মাস শেষে সেটি বেড়ে সাড়ে ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ পাঁচ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের। শীর্ষে আছে ভিয়েতনাম, তাদের প্রবৃদ্ধি ১৩ শতাংশের মতো।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ হাজার ৮৮৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ বেশি।

বাণিজ্যযুদ্ধ চললেও চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে চীনের পোশাক রপ্তানি ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। দেশটি রপ্তানি করেছে ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারের পোশাক। তাদের বাজার হিস্যা ৩২ দশমিক ২৬ শতাংশ। চীনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৮০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম। তাদের বাজার হিস্যা বর্তমানে ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশ। তারপর চতুর্থ সর্বোচ্চ রপ্তানি করেছে ভারত, ২৬২ কোটি ডলারের পোশাক। ভারতের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া ২৫৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তাদের প্রবৃদ্ধি দশমিক ৩৪ শতাংশ।