পণ্য আমদানির বিমা দেশীয় কোম্পানিতেই করতে হবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল. ফাইল ছবি
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল. ফাইল ছবি

‘বিমা প্রিমিয়াম হিসেবে দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যায়। এটা আর হতে দেওয়া যাবে না। এখন থেকে বড় বড় প্রকল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির বিপরীতে দেশীয় কোম্পানিতেই বিমা করতে হবে। এতে দেশীয় কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম আয় বাড়বে।’ বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন।

সাধারণ বীমা করপোরেশনের পক্ষ থেকে সরকারি কোষাগারে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের লভ্যাংশ থেকে অর্থমন্ত্রীর হাতে ৫০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন করপোরেশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ইত্যাদি বড় প্রকল্পের বিমা করেছে সাধারণ বীমা করপোরেশন। এত দিন বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি আমদানি করা হতো এবং বলা হতো যে দেশের বিমা কোম্পানিগুলো ছোট ও দুর্বল। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কোম্পানিগুলো ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না। ফলে বিদেশে বিমা করা হতো। এতে প্রিমিয়ামগুলো বিদেশে চলে যেত।

প্রসঙ্গত, সরকারি সম্পত্তির বিমা ঝুঁকি সাধারণ বীমা করপোরেশন থেকে নেওয়ার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি নন-লাইফ বিমা কোম্পানিগুলো সরকারি সম্পত্তির বিমা পলিসি করছে। সাধারণ বীমা করপোরেশন পাঁচ বছর ধরে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসছে।

অর্থমন্ত্রী তাহলে কী বোঝাতে চেয়েছেন, এ ব্যাপারে সাধারণ বীমা করপোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে জাহাজ ভাড়া ছাড়া মূল্যের (এফওবি) ওপর বিমা পলিসি করা হয় এবং তার বিপরীতে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে প্রিমিয়াম দিতে হয়। যেমন- জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রেও এ প্রিমিয়াম দিতে হয়।

করপোরেশনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মচারীরা অর্থমন্ত্রীকে বুঝিয়েছেন যে, এফওবির পরিবর্তে কস্ট ইনস্যুরেন্স ফ্রেইট (সিআইএফ) চালু করা হলে দেশীয় কোম্পানিগুলোতেই তা করা যাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রায় প্রিমিয়াম পরিশোধও ঠেকানো যাবে। সূত্রগুলো জানায়, সাধারণ বীমা করপোরেশন আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।