চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ

গল্পটা পুরোনো। বলো তো, পৃথিবীজুড়ে কবে দুর্ভিক্ষ হবে। উত্তরটা সহজ, চীনের মানুষেরা যেদিন কাঠি ছেড়ে হাত দিয়ে ভাত খাবে। চীনে মানুষ বেশি, সম্ভবত এ জন্যই গল্পটার সৃষ্টি। তবে দেশটিতে মানুষ যেমন বেশি, চাল উৎপাদনও বেশি। বিশ্বে চীন সবচেয়ে চাল উৎপাদন করে। বছরের পর বছর ধরে স্থানটি তারা ধরে রেখেছে। তারা ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৭৩ হাজার টন চাল উৎপাদন করে। 

চীনের পরেই আছে পাশের দেশ ভারত। ভারতও জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, চাল উৎপাদনেও। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশটির চাল উৎপাদন ছিল ১১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার টন। 

তালিকার পরের দেশটি জনসংখ্যাবহুল একটি দেশ, ইন্দোনেশিয়া। জনসংখ্যার দিক থেকে অবশ্য চীন ও ভারত থেকে অনেক পিছিয়ে, চাল উৎপাদনেও। ইন্দোনেশিয়ার মোট উৎপাদন ওই দুই দেশের তুলনায় কম, ৩ কোটি ৭০ লাখ টন। 

এরপরেই আছে বাংলাদেশ, উৎপাদন ৩ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের চতুর্থ চাল উৎপাদনকারী দেশ। দেখা গেছে, স্বাধীনতার পর দেশে যে চাল উৎপাদন হতো, এখন তার চেয়ে তিন গুণ বেশি উৎপাদন হয়। চাল উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে বাংলাদেশ। দেখা গেছে, দেশের উৎপাদিত চালের ৫৫ ভাগই আসে বোরো ধান থেকে, বাকিটা আসে আউশ ও আমন থেকে। এখানে বছরে একই জমিতে তিনবার ধান উৎপাদন করা হয়। হাওর এলাকাতেও এখন চাল উৎপাদন হচ্ছে। 

চাল উৎপাদনের শীর্ষ ১০-এর বাকি দেশগুলো হচ্ছে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, ব্রাজিল ও জাপান।

চাল উৎপাদনে শীর্ষ ১০ দেশ (২০১৭–১৮) হাজার মেট্রিক টন

চীন ১৪৮,৮৭৩

ভারত ১১২,৯১০

ইন্দোনেশিয়া ৩৭,০০০

বাংলাদেশ ৩২,৬৫০

ভিয়েতনাম ২৮,৪৭১

থাইল্যান্ড ২০,৩৭০

মিয়ানমার ১৩,২০০

ফিলিপাইন ১২,২৩৫

ব্রাজিল ৮,২০৪

জাপান ৭,৭৮৭ সূত্র: ইউডিএসএ