পিকেএসএফের 'উজ্জীবিত' প্রকল্পে প্রায় ২ লাখ অতিদরিদ্র পরিবার সুফল পেয়েছে

অতি দারিদ্র্য বিমোচনে কর্মসূচি ‘ইউপিপি-উজ্জীবিত কম্পোনেন্ট’-এর চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে অতিথিরা। পিকেএসএফ মিলনায়তন, ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি
অতি দারিদ্র্য বিমোচনে কর্মসূচি ‘ইউপিপি-উজ্জীবিত কম্পোনেন্ট’-এর চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে অতিথিরা। পিকেএসএফ মিলনায়তন, ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

১ লাখ ৮৩ হাজার অতিদরিদ্র পরিবারকে চরম দারিদ্র্য থেকে টেকসইভাবে প্রাগ্রসর করা সম্ভব হয়েছে ‘উজ্জীবিত’ প্রকল্পের মাধ্যমে। গতকাল রোববার রাজধানীতে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত অতি দারিদ্র্য বিমোচনে কর্মসূচি ‘ইউপিপি-উজ্জীবিত কম্পোনেন্ট’-এর চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, মেয়াদভিত্তিক প্রকল্প হতে পাওয়া সুফল স্থায়ী হয় না। তাই বহুমাত্রিক দারিদ্র্যকে দূর করতে প্রয়োজন মানবকেন্দ্রিক সমন্বিত ও বহুমাত্রিক উদ্যোগ। ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’-এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে টেকসই উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাসমূহের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন উল্লেখযোগ্য। দেশে এখনো যারা অতিদরিদ্র রয়েছেন, তাদের জন্য উপযুক্ত, কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফার্স্ট সেক্রেটারি মানফ্রিড ফারনহোলজ বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে আজ অবস্থান করছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, গত পাঁচ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ‘উজ্জীবিত’ প্রকল্পের কার্যক্রমসমূহ মাঠপর্যায়ে বেশ সাড়া ফেলেছে। সহযোগী সংস্থাসমূহকে এসব উদ্যোগ মাঠপর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে চলমান রাখার আহ্বান জানান তিনি। উজ্জীবিত প্রকল্পের উত্তম কার্যক্রমসমূহ পিকেএসএফের মূল কর্মসূচিতে সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ১১.০৫ মিলিয়ন ইউরো বাজেটের ‘উজ্জীবিত’ প্রকল্পটি ২০১৩ সাল নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে পিকেএসএফ। ৩৬টি নির্বাচিত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ১ হাজার ৭২৪টি ইউনিয়নে এটি বাস্তবায়িত হয়। এসব এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার নারী-প্রধান এবং অতিনাজুক অতিদরিদ্র পরিবারকে চরম দারিদ্র্য অবস্থা থেকে টেকসইভাবে প্রাগ্রসর করাই ছিল এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কিউ. এম. গোলাম মাওলা। উজ্জীবিত প্রকল্পের চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর উপস্থাপনা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এম. এ. বাকী খলীলী।

অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি ও পিকেএসএফ-এর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি