মিয়ানমার থেকে ২৩৩ টন পেঁয়াজ এসেছে

মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করেছেন শ্রমিকেরা। টেকনাফ স্থলবন্দর, টেকনাফ, কক্সবাজার, ১৭ সেপ্টেম্বর। ছবি: গিয়াস উদ্দিন
মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করেছেন শ্রমিকেরা। টেকনাফ স্থলবন্দর, টেকনাফ, কক্সবাজার, ১৭ সেপ্টেম্বর। ছবি: গিয়াস উদ্দিন

মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে ২৩৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এসেছে। আরও ১৫০ মেট্রিক টনের মতো পেঁয়াজ সমুদ্রপথে রয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে স্থলবন্দরে এসে পৌঁছাবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর কর্মকর্তা ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে মিয়ানমার থেকে দেশে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ওই দিনে প্রথম চালানে ২০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন মেসার্স এন এইচ এন্টারপ্রাইজের রনজিত দাস। এরপর সাতজন ব্যবসায়ী ২৩৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এর আগে গত জুলাই মাসে ৮৪ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হলেও আগস্ট মাসে কোনো পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে টেকনাফে আসেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুটি ট্রলারে করে মেসার্স সাদ্দাম ও মেসার্স সেভেন স্টার নামের দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৫০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ মঙ্গলবার সকালে স্থলবন্দরের এসে পৌঁছে। এরপর পেঁয়াজগুলো খালাস করে দেশের অভ্যন্তরে নেওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম যথেষ্ট বেশি। তবে বাংলাদেশের বাজারে দাম আরও বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন। এখন মিয়ানমারের প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৪৩ টাকা। এ পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পৌঁছাতে পরিবহন, শ্রমিকসহ সাড়ে কেজিপ্রতি ৩ টাকার মতো খরচ হচ্ছে।

ট্রলার থেকে পেঁয়াজ খালাস করে শ্রমিকেরা ট্রাক বোঝাই করছেন। টেকনাফ স্থলবন্দর, টেকনাফ, কক্সবাজার, ১৭ সেপ্টেম্বর। ছবি: গিয়াস উদ্দিন
ট্রলার থেকে পেঁয়াজ খালাস করে শ্রমিকেরা ট্রাক বোঝাই করছেন। টেকনাফ স্থলবন্দর, টেকনাফ, কক্সবাজার, ১৭ সেপ্টেম্বর। ছবি: গিয়াস উদ্দিন

ওই সব আমদানিকারকরা আরও বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রায় সাড়ে ৯ শত মেট্রিকটন পেঁয়াজ মজুত করেছেন। এর মধ্যে মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে পেঁয়াজ বোঝাই চারটি ট্রলারে আরও ১৫০ মেট্রিকটনের মতো পেঁয়াজ সমুদ্রপথে আছে। দু-তিন দিনের মধ্যে সেগুলো স্থলবন্দরে এসে পৌঁছাতে পারে।

টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, স্থানীয় বাজারে দাম পাওয়া গেলে মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণের পেঁয়াজ আসার কথা আছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর কাস্টমস সুপার আবছার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা থাকায় বন্দর ও কাস্টমসের যাবতীয় কার্যক্রম অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ দেশের বাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের আকিয়াব থেকে মঙ্গলবার সকালে দুটি ট্রলারে পেঁয়াজ এসে পৌঁছেছে। মিয়ানমার থেকে আরও পেঁয়াজ আসার কথা রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সংকট মেটাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।