জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু, আসবাব রপ্তানি বাড়াতে বন্ড-সুবিধা চান উদ্যোক্তারা
আসবাব রপ্তানি বাড়াতে বন্ড–সুবিধা চান উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, আসবাব রপ্তানিতে সরকার ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। কারণ, আসবাবের সরঞ্জাম আমদানিতে ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। তাতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অর্জন করা যায় না।
১৬তম জাতীয় ফার্নিচার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসবাবশিল্পের উদ্যোক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আজ মঙ্গলবার পাঁচ দিনব্যাপী এই আসবাব মেলা শুরু হয়েছে। মেলাটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি।
আজ বিকেলে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান, ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান, ফার্নিচার রপ্তানিকারক সমিতির চেয়ারম্যান কে এম আকতারুজ্জামান প্রমুখ।
সেলিম এইচ রহমান বলেন, ‘সরকার আসবাব রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা দিচ্ছে। তবে আসবাবের সরঞ্জাম আমদানিতে ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। সে জন্য আমরা যে নগদ সহায়তা পাই, সেটি দিয়ে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অর্জন করতে পারছি না। তাই নগদ সহায়তা ১৫ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করা অথবা বন্ড–সুবিধায় আসবাব তৈরির সরঞ্জাম আনার সুযোগ দরকার।’ একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের সুফল নিয়ে আসবাব রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সরকারকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি।
শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, চামড়া, আসবাবসহ অন্যান্য রপ্তানি খাতকে পোশাকশিল্পের মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য এফবিসিসিআই থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে এ বিষয়ে সমীক্ষা করানো হবে। বন্ড–সুবিধার পাশাপাশি আসবাবের সরঞ্জামের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়ে কাজ করা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মেলায় হাতিল কমপ্লেক্স, আকতার ফার্নিশার্স, নাভানা ফার্নিচার, ডেল্টা ফার্নিচার, নাদিয়া ফার্নিচার, ব্রাদার্স ফার্নিচার, পারটেক্স ফার্নিচার, বহু বাংলাদেশ, বার্জার পেইন্টস, রিগ্যাল ফার্নিচার, লিগেসি ফার্নিচার, হাতিম ফার্নিচারসহ ৩১ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
মেলা উপলক্ষে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই নতুন নকশার খাট, ডাইনিং টেবিল, আলমারি, সোফাসেট, দোলনা, কিচেন কেবিনেট ইত্যাদি নিয়ে এসেছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সব প্রতিষ্ঠানই ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দিচ্ছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় কোনো প্রবেশমূল্য নেই।