বিমানের লক্ষ্য পূরণ করাই বড় চ্যালেঞ্জ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে, সেটি অর্জন করাই নিজের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আজ বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন বিমানের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মোকাব্বির হোসেন।

আজ বিকেলে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনে এই ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোকাব্বির হোসেন বলেন, এই প্রতিষ্ঠানকে সামনে নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে। প্রতিষ্ঠানের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে, সেটি অ্যাচিভ (অর্জন) করা এটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।

মোকাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমার একটাই লক্ষ্য আর তা হলো প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে সামনে এগিয়ে চলা। আমার মেধা, জ্ঞান ও শ্রম দিয়ে যেটি ভালো তার সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করব। আজ যে অবস্থায় এখানে যোগ দিয়েছি, বিদায়কালেও সেই জায়গায় থাকব।’

মোকাব্বির বলেন, ‘আমার অন্য কোনো অ্যাজেন্ডা নেই। আমি এখানে যোগ দিয়েছি এই প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করার জন্য। নিয়মানুযায়ী ব্যবসা ভালো করার চেষ্টা করব। আজ যে অবস্থায় আছি, বিদায়কালেও সেই জায়গায় থাকব। আমার হাইড অ্যান্ড সিক কিছু নেই। সবকিছুই ট্রান্সপারেন্ট।’

গত রোববার বিমানে আনুষ্ঠানিকভাবে এমডি ও সিইও হিসেবে যোগ দেন মোকাব্বির হোসেন। এর আগে তিনি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।

বিমানের বিভিন্ন কর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোকাব্বির হোসেন বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অনেকেরই শাস্তি হচ্ছে, অনেকেরটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে বিচারাধীন সব বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।

বহরে যুক্ত নতুন আসা বোয়িং নিয়ে বিমান কি আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বোয়িং নিয়ে করা পুরোনো পরিকল্পনা সংশোধন করতে হবে।

মোকাব্বির হোসেন বলেন, এ খাতের প্রথম বিষয়ই হচ্ছে নিরাপত্তা। এরপর যাত্রীদের সময়মতো সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো। যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে তারা আরামে ভ্রমণ করতে পারে।