জিনি সহগ কাকে বলে

কোরাদো জিনি
কোরাদো জিনি

আজকাল বিশ্বব্যাপী আয় ও সম্পদবৈষম্য কথাটা খুব শোনা যায়। আর এ নিয়ে আলোচনার সময় একটি কথা অর্থনীতিবিদেরা খুব বলেন। আর সেটি হলো জিনি (কেউ কেউ গিনিও বলেন) সহগ। মূলত এটি বৈষম্য মাপার একটি পদ্ধতি।

১৯১২ সালে ইতালির সংখ্যাতত্ত্ববিদ কোরাদো জিনি এর উদ্ভাবক। এটি একটি অনুপাত বা ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা হয়, যার মান ০ থেকে ১-এর মধ্যে হবে। ভগ্নাংশটি হলো বণ্টনের লোরেনৎস রেখা এবং সুষম বিতরণ রেখার মধ্যবর্তী এলাকার ক্ষেত্রফল এবং সুষম বিতরণ রেখার নিচে অবস্থিত এলাকার ক্ষেত্রফলের অনুপাত। জিনি সহগকে ১০০ দিয়ে গুণ করে শতকরা হারে প্রকাশ করলে তাকে জিনি সূচক বলা হয়। 

সবার আয় সমান হলে জিনি সূচক হবে শূন্য। এর অর্থ হলো চরম সাম্য অবস্থা বিরাজ করছে। এটি অবশ্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর সব আয় একজনের হাতে গেলে সূচকটি হবে ১। এটি আবার চরম অসাম্য অবস্থা। এই দুই সীমার মধ্যে সূচক যত বাড়ে, অসাম্য তত বেশি।

এখন দেখি বাংলাদেশ পরিস্থিতি কেমন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের জিনি সহগ ছিল মাত্র ০.৩৬। এর অর্থ বাংলাদেশ দারিদ্র্যকবলিত দেশ হলেও আয়বৈষম্য ছিল তুলনামূলকভাবে সহনীয়। সেই জিনি সহগ এখন (২০১৬) বেড়ে হয়েছে ০.৪৮৩-এ। অর্থাৎ আয়বৈষম্য অনেক অনেক বেড়েছে। 

আর বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি আয়বৈষম্য দক্ষিণ আফ্রিকায় (০.৬৩)। এরপরেই রয়েছে নামিবিয়া, বতসোয়ানা, জাম্বিয়া ও মধ্য আফ্রিকা রিপাবলিক। 

—এবং বাণিজ্য প্রতিবেদক