দেশে পালসারের নতুন মডেল

বাজাজ পালসার এনএস১৬০ এফআই-এবিএস মডেলের এই মোটরসাইকেলটি আজ উন্মোচন করা হয়। ছবি: সাইফুল ইসলাম
বাজাজ পালসার এনএস১৬০ এফআই-এবিএস মডেলের এই মোটরসাইকেলটি আজ উন্মোচন করা হয়। ছবি: সাইফুল ইসলাম

সুপরিচিত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড বাজাজের নতুন একটি মোটরসাইকেল দেশের বাজারে বিপণন শুরু হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাজাজ পালসার এনএস১৬০ এফআই-এবিএস মডেলের এই মোটরসাইকেলটি উন্মোচন করা হয়।

বাজাজের বাংলাদেশি পরিবেশক উত্তরা মোটরস জানিয়েছে, দেশজুড়ে মোটরসাইকেলটির অগ্রিম বুকিং নেওয়া শুরু হয়েছে। এর দাম ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ টাকা। এই মোটরসাইকেলটিতে ফুয়েল ইনজেকশন ও অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম বা এবিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

উন্মোচন অনুষ্ঠানে উত্তরা মোটরসের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, পালসার দেশে আসা প্রথম স্পোটর্স মডেলের মোটরসাইকেল। ২০০২ সালে পালসারের যাত্রা শুরু হয়। দেশে এখন পাঁচ লাখেরও বেশির পালসার মোটরসাইকেল চলছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বাজাজ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর মান কোনোভাবেই ভারতের চেয়ে কম নয়।

পালসার এনএস১৬০ এফআই-এবিএস মোটরসাইকেলটিতে রয়েছে পেরিমিটার ফ্রেম, ৪-ভ্যালভ, ফুয়েল ইনজেকটেড ডিটিএস-আই ইঞ্জিন, আন্ডারবেলি একজস্ট, নাইট্রোক্স মনো সাসপেনশন, টিউবলেস টায়ার এবং স্ট্রিট ফাইটার নেকেড ডিজাইন।মোটরসাইকেলটির ডিটিএস-আই ইঞ্জিন ৮ হাজার ৫০০ আরপিএমে ১৫.০২ পিএস এবং ৬ হাজার আরপিএমে ১৪.১২ এনএম টর্কের শক্তি উৎপাদনে সক্ষম। হাইড্রোলিক দ্বারা পরিচালিত অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম প্রযুক্তির মোটরসাইকেলটির সামনের চাকায় ২৬০ মিলিমিটার ডিস্ক ও পেছনের চাকায় ২৩০ মিলিমিটার রয়েছে। বাইকটিতে সর্বোচ্চ ১২ লিটার পর্যন্ত তেল ধারণের ফুয়েল ট্যাঙ্ক রয়েছে, যা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক।

অনুষ্ঠানে ভারতের বাজাজ অটো লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিলিন্দ বাদে বলেন, বাংলাদেশের বাজার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল মোটরসাইকেল বাজারগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। পালসার মোটরসাইকেল সব সময় সব শ্রেণির মানুষের কথা বিবেচনা করে তৈরি হয়।তিনি বলেন, বিশ্বের ৩০টি দেশে পালসার মোটরসাইকেল জনপ্রিয়।

উত্তরা মোটরস জানিয়েছে, দেশব্যাপী উত্তরা মোটর্সের সবকটি শোরুম থেকে পালসার এনএস১৬০ এফআই-এবিএস অগ্রিম ফরমায়েশ বা প্রি-বুকিং দেওয়া যাবে । প্রি-বুকিং দেওয়া মোটরসাইকেলগুলো দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।