পেঁয়াজের বাজারে 'চোখ' সরকারের

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পেঁয়াজের বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের ১০ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আজ মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, যশোর, দিনাজপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার বাজারগুলোয় তদারকি শুরু করেছেন। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা প্রশাসনও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র বা এলসি মার্জিন এবং সুদের হার কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থল ও নৌবন্দরগুলোয় আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে পেঁয়াজ পরিবহন এবং দেশের ভোমরা, সোনা মসজিদ, হিলি ও বেনাপোল বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি নির্বিঘ্ন করতে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, দেশে পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ট্রাক সেলে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। আজ থেকে এ ট্রাক সেলের সংখ্যা ১৬ থেকে ৩৫–এ উন্নীত করা হয়েছে। এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।

এ ছাড়া পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এসব পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি সভা করেছে। ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি এবং নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছে। কোনো ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুত, কৃত্রিম উপায়ে মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা এবং স্বাভাবিক সরবরাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের কোনো বাজারেই পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, মূল্য দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে।