পেঁয়াজের দাম আর কমেনি, বেড়েছে মুরগির মাংসের

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম আর কমেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার আগের দিনের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে পুরান ঢাকার পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্র শ্যামবাজারে। খুচরা বাজারেও দাম আগের মতোই আছে।

ভারত গত রোববার রপ্তানি বন্ধের পর পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বেড়েছিল। মঙ্গল ও বুধবার শ্যামবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। গতকালও একই দর গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ঢাকার কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সোমবারের চেয়ে অবশ্য কেজিপ্রতি ১০ টাকার মতো কম।

শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল আছে। সামনে মিসর ও তুরস্কের পেঁয়াজ এলে দাম আরও কিছুটা কমতে পারে। তিনি জানান, পাইকারি বাজারে রসুন ও আদার দাম কমেছে। সাম্প্রতিক কালে চীনা আদা প্রতি কেজি ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। সেটা এখন ১১০-১১২ টাকায় নেমেছে। অন্যদিকে চীনা রসুন উঠেছিল ১৬০ টাকায়, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকার মধ্যে। 

খুচরা বাজারে চীনা রসুন প্রতি কেজি ১৪০ টাকা ও আদা ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

এদিকে বাজারে ডিমের দামও চড়া। সাধারণত প্রতি ডজন ডিমের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকে। কিন্তু ফার্মের মুরগির ডিম এখন প্রতি ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

বেড়েছে ফার্মের সোনালিকা জাতের মুরগির (পাকিস্তানি নামে পরিচিত) দামও। গত সপ্তাহে এ মুরগির দাম প্রতি কেজি ২৩০-২৪০ টাকার মধ্যে ছিল। গতকাল কারওয়ান বাজারেই তা ২৮০ টাকা চাইতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকার মতো বেড়ে প্রতি কেজি ১৪০-১৪৫ টাকায় উঠেছে।