রংপুরে দারিদ্র্য বেড়েছে, কমেছে বরিশালে: বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

ছয় বছরের ব্যবধানে রংপুর ছাড়া দেশের সব বিভাগে দারিদ্র্য কমেছে। ২০১০ সালে রংপুরে দারিদ্র্য হার ছিল ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৬ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ওই ছয় বছরে সবচেয়ে দারিদ্র্য কমেছে বরিশাল বিভাগে। বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্যের হার ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে নেমে ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগেও উল্লেখ্যযোগ্য হারে দারিদ্র্য কমেছে। রাজশাহী ও খুলনায় দারিদ্র্যের হার কমার প্রবণতা কম।

আজ সোমবার বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত বাংলাদেশ পভার্টি অ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপের তথ্য–উপাত্ত ব্যবহার করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। রাজধানীর এক হোটেলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে বলেছে, দেশের পূর্বাঞ্চলে দারিদ্র্য কম এবং পশ্চিমাঞ্চলের বেশি—এই পরিস্থিতি আবার ফিরে এসেছে। এ জন্য আয়বর্ধক কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে জোর দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া নগর দারিদ্র্য মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের পক্ষে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংস্থার পভার্টি অ্যান্ড ইক্যুইটি গ্লোবাল প্র্যাকটিসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ মার্সিয়া জেনুনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের সঙ্গে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, তিন বছরের তথ্য–উপাত্ত ব্যবহার করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। হালনাগাদ তথ্য ব্যবহার করলে আরও ইতিবাচক চিত্র পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস, বিশ্বব্যাংকের পভার্টি অ্যান্ড অ্যান্ড ইক্যুইটি গ্লোবাল প্র্যাকটিসের পরিচালক ক্যারোলিনা সানচেজ পারামো, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বো প্রমুখ।