রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ৩৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

বৈধ পথে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) পাঠানোয় ৩৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাঁচ ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় এ পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক ও রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রবাসীদের মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ হাউস। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এবারের আয়োজনটি ষষ্ঠবারের মতো।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা।

পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন কুয়েতপ্রবাসী জাকির হোসেন ও সিকদার বাচ্চু, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আফতাব হোসেন, সুকেশ রায় ও ইশা খোশনু, জার্মানিপ্রবাসী মো. কামরুজ্জামান, মালয়েশিয়াপ্রবাসী আহমেদ রায়হান সামসী, সিঙ্গাপুরপ্রবাসী দেওয়ান মাসুদ কামাল, কাতারপ্রবাসী ইকবাল হোসেন ও নাইজেরিয়াপ্রবাসী নওশাদ আহমেদ।

বিশেষজ্ঞ পেশাজীবী শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছেন সিঙ্গাপুরপ্রবাসী মো. ইমরান হোসেন ভূঁইয়া ও সুভাষ চন্দ্র মজুমদার, ওমানপ্রবাসী রফিকুল ইসলাম, কানাডাপ্রবাসী মোস্তফা কামাল, কাতারপ্রবাসী নির্মল কান্তি ঘোষ, কুয়েতপ্রবাসী তৌহিদ আহমেদ, সোমালিয়াপ্রবাসী নাসির আহমেদ ও আফগানিস্তানপ্রবাসী মো. রেজাউল বারী চৌধুরী।

ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী মো. অলিউর রহমান, আবদুল করিম, মাহবুব আলম, মোহাম্মদ শাহজাহান বাবলু, মোহাম্মদ আবদুন নূর কাউসার, মাহবুবুল হাদী ফজলে রব, নুর মোহাম্মদ ও মোহাম্মদ ইমাদ উর রহমান। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরপ্রবাসী আবু তাহের মো. আমানুল্লাহ ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মঞ্জুরুল আলমও ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন।

রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ পাঁচ ব্যাংক ইসলামী, অগ্রণী, সোনালী, ডাচ্‌-বাংলা ও জনতা ব্যাংক পুরস্কার পেয়েছে।

রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কোম্পানি (এসআরএল), এনইসি মানি ট্রান্সফার লিমিটেড ও প্লাসিড এনকে করপোরেশন পুরস্কার পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অবৈধ চ্যানেলকে রুখে দিতে এবং বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স উৎসাহিত করতে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আরও সুবিধা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমি চাই ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অর্থ যেন বাংলাদেশে আসে। এ জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তা করা হবে।’ চলতি বছরে দুই হাজার কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করেন অর্থমন্ত্রী।