অনলাইনে বেচাকেনায় দামের ওপর ভ্যাট নয়

অনলাইনে পণ্য ও সেবা বিক্রি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে গেছে। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় ঘরে বসেই পণ্য কিনতে চান অনেকে। শহরে মধ্যবিত্তরা এখন বাজারে যেতে চান না। অনলাইন বেচাকেনা জীবনকে সহজ করে তুলেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অনলাইন বেচাকেনার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। এই ভ্যাট পণ্য বা সেবার দামের ওপর নয়, এই ভ্যাট বসবে অনলাইনে বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান যে সেবামূল্য প্রাপ্ত হন, সেই মূল্যের ওপর। এটি পণ্য বা সেবার ওপর ভ্যাট নয়, অনলাইনে সেবার ওপর ভ্যাট। এখন ফেসবুকের মতো যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি নিজস্ব ওয়েব পোর্টালেও পণ্য বিক্রি করে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় ভ্যাট আদায় করতে হবে, সেই নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো করযোগ্য ও কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের পণ্য সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত একটি বিক্রয় মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং গ্রাহক পর্যায়ে পণ্য পৌঁছে দেয়। এর বিনিময়ে ওই সব প্রতিষ্ঠান সরবরাহকারী ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন, মাশুল, সার্ভিস চার্জ, রেভিনিউ শেয়ারিং বা অন্য কোনো উপায়ে সেবামূল্য গ্রহণ করে থাকে। আবার ওই সব অনলাইনে বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান উৎপাদক বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য বা সেবা ভ্যাট দিয়েই পণ্য সংগ্রহ করে। তাই ভোক্তা বা গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রির সময় আবার সম্পূর্ণ মূল্যের ওপর ভ্যাট আদায় করতে হবে না। এটা করা হলে দ্বৈতকর হয় যায়। তাই অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান সেবার বিনিময়ে প্রাপ্ত মূল্যের ওপরেই ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। অবশ্য এ জন্য ওই অনলাইন বিক্রয়কারীকে উৎপাদক বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য কেনার সময় যে মূসক দেওয়া হয়েছে, এর চালানের কপি রাখতে হবে। 

অনলাইনে এমন কিছু পণ্য যেমন শাকসবজি, মাছ, চাল, ডাল, মাংস ইত্যাদি পণ্যও বিক্রি হয়। এসব পণ্য ভ্যাট অব্যাহতিপ্রাপ্ত। কিন্তু অনলাইনে পণ্য বিক্রির কারণে সেবামূল্যের বিপরীতে ৫ শতাংশ ভ্যাট হবে। অনলাইনে যেকোনো কিনলেই সেবামূল্যের ভ্যাট দিতে হবে। 

তবে কোনো অনলাইন বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান যদি পণ্য সংগ্রহের সময় ভ্যাট পরিশোধ না করে, তবে অনলাইনে যে দামে পণ্য বিক্রি হবে, সেই দামের ওপর পণ্য বা সেবাভেদে প্রযোজ্য ভ্যাট আরোপ করা হবে।