নিরাপদ নির্মাণে স্টিলের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে

নির্মাণসামগ্রী হিসেবে স্টিলের বিবিধ ব্যবহার আছে। ভবন কিংবা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা যে স্টিল ব্যবহার করব এই স্টিলটা অবশ্যই উন্নতমানের হতে হবে। নিরাপদ নির্মাণে স্টিলের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে প্রথম আলো ও বিএসআরএম এর যৌথ উদ্যোগে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। ওই আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনায় অংশ নেন বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক আবু সাদেক ও বিএসটিআই পরিচালক (মান) সাজ্জাদুল বারি। আলোচনায় বাংলাদেশের নির্মাণশিল্পে অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী স্টিলের বিবিধ ব্যবহার ও স্টিলের মান কীভাবে নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে আলোচকেরা বিশেষজ্ঞ মতামত দেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাজ্জাদুল বারি বলেন, বিএসটিআই আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আইএসও) সদস্যভুক্ত সংস্থা। বিএসটিআই দেশে মোট ১৬০টি স্টিল পণ্যের মান নির্ধারণ করেছে। এসব পণ্যকে ৩ বছরের জন্য সনদ দেওয়া হয়। এরপর প্রতি ছয় মাস অন্তর কারখানা পরিদর্শনের মাধ্যমে এসব পণ্যের মান ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করা হয়। তবে সারা বছরই মানসম্পন্ন উপাদান দিয়ে স্টিল উৎপাদন হচ্ছে কিনা এটা নিশ্চিত করা একটু কঠিন। ভোক্তারা যদি অভিযোগ করে তবে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সেন্টার ফর হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ এর নির্বাহী পরিচালক আবু সাদেক বলেন নির্মাণসামগ্রী হিসেবে স্টিলের বিবিধ ব্যবহার আছে। ভবন কিংবা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা যে স্টিল ব্যবহার করব এই স্টিলটা অবশ্যই উন্নত মানের হতে হবে। নিরাপদ নির্মাণে স্টিলের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।

আবু সাদেক বলেন, স্ক্রাপ কিংবা জাহাজ ভাঙা বা রি-রোলিং স্টিল হলে চলবে না। বিএসটিআইয়ের ক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে খাদ্যসামগ্রীর মতো নির্মাণসামগ্রী বাজার থেকে সংগ্রহ করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করা। যে কোম্পানিগুলো মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করছে না তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা। আমরা যদি রড কিংবা স্টিলের গুণগত মান নিশ্চিত করতে না পারি তবে আমরা যে উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করছি সে উন্নয়ন পদে পদে বাধাগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে স্টিলের আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিএসটিআইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।