সংবাদপত্রশিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা প্রত্যাশা নোয়াবের

এফবিসিসিআই নেতৃত্বের সঙ্গে নোয়াব নেতাদের বৈঠক। ছবি: এফবিসিসিআইয়ের সৌজন্যে
এফবিসিসিআই নেতৃত্বের সঙ্গে নোয়াব নেতাদের বৈঠক। ছবি: এফবিসিসিআইয়ের সৌজন্যে

দেশের সংবাদপত্রশিল্পের উন্নয়ন ও আলোচনার মাধ্যমে এই শিল্পের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নেতারা।

রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে আজ বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সঙ্গে বৈঠক করে সংবাদপত্রশিল্পের জন্য এই সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন নোয়াবের সভাপতি মতিউর রহমান। এ সময় এফবিসিসিআই ও নোয়াবের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এফবিসিসিআইয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বৈঠকে নোয়াবের সভাপতি এবং প্রথম আলোর প্রকাশক ও সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে সংবাদপত্রশিল্প অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠিন সময় পার করছে। সেবা খাত হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য কর-ভ্যাট ছাড়া সংবাদপত্রশিল্পের করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ। এটি সংবাদপত্রশিল্পের অগ্রগতির জন্য বড় একটি বাধা। এ অবস্থায় শিল্পকে টিকে থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অধিকাংশ সংবাদপত্রকেই ভর্তুকি দিয়ে চালাতে হচ্ছে।

বৈঠকে সরকার ঘোষিত নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়েও আলোচনা হয়।
নোয়াবের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, নতুন ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সংবাদপত্রশিল্প চাপের মধ্যে পড়বে। সংবাদপত্রের আয় বাড়ানো এবং ট্যাক্স-ভ্যাট ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পথ তৈরি করে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ওয়েজ বোর্ড গঠন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় এফবিসিসিআইয়ের সম্পৃক্ততা ছিল না। তাই এই বিষয়ে করণীয় মূল্যায়ন করা যেতে পারে। সংবাদপত্রশিল্পের অর্থনৈতিক স্বার্থে সরবরাহ ব্যবস্থাসহ (ভ্যালু চেইন) অন্যান্য বিষয় নিয়ে নোয়াবের সঙ্গে যৌথভাবে পর্যালোচনা করার সুযোগ রয়েছে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, হাসিনা নেওয়াজ ও দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, পরিচালক মুনির হোসেন, সমকাল পত্রিকার প্রকাশক এ কে আজাদ, দ্য ডেইলি স্টার-এর প্রকাশক ও সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দৈনিক সংবাদ-এর প্রকাশক ও সম্পাদক আলতামাশ কবির, দৈনিক ভোরের কাগজ-এর পরিচালক তারিক সুজাত এবং দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।