৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আনছে এস আলম গ্রুপ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পেঁয়াজের সংকটের মধ্যে এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে ৫০ হাজার টনের বড় চালান আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। আগামী মাসের শুরুতে এই বড় চালান দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

আজারবাইজান সফরের বিস্তারিত জানাতে আজ মঙ্গলবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির তথ্য তুলে ধরে বলেন, এই পেঁয়াজ শিগগির পৌঁছাবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এই সমস্যা সাময়িক। আরও পেঁয়াজ আনা হচ্ছে।

এস আলম গ্রুপ জানায়, পেঁয়াজ সংকটের শুরুতে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা চালায় গ্রুপটি। তবে বড় চালান না পেয়ে গ্রুপটি মিসরের দ্বারস্থ হয়। কয়েক দিন আগে দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলে।

জানতে চাইলে এস আলম গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান আজ প্রথম আলোকে বলেন, পেঁয়াজের বড় চালানটি আগামী মাসের শুরুতে দেশে এসে পৌঁছাবে। এই চালান আসার পর দেশে পেঁয়াজের সংকট থাকবে না। দামও কমে আসবে। ব্যবসার জন্য নয়, সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে, সে জন্য গ্রুপটি এই উদ্যোগ নিয়েছে।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিজেদের বাজার সামাল দিতে এই পদক্ষেপ নেয় দেশটি। এরপরই বাংলাদেশসহ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ৬০ টাকা কেজির পেঁয়াজ হয়ে যায় ১০০ টাকা। মাঝে কিছু কমলেও এখন কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।

এস আলম গ্রুপ ছাড়াও কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপ আড়াই হাজার টন করে তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। সব মিলিয়ে আগামী মাসের মাঝামাঝি পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি থামবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন।