পর্যটনের স্বার্থে ছুটির দিনে নিয়ম শিথিল চান সিলেটের ব্যবসায়ীরা

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের উপমহাপরিদর্শক তপন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা। ছবি: প্রথম আলো
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের উপমহাপরিদর্শক তপন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা। ছবি: প্রথম আলো

পর্যটন নগরী বিবেচনায় সিলেটের দোকানপাটসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটির বাধ্যবাধকতার ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। গতকাল সোমবার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ অনুরোধ জানান সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মোহাম্মদ শোয়েব।

সভায় আবু তাহের মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের মতো নয়। এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কিছু কারখানা থাকলেও তেমন বৃহৎ কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেই। তাই শ্রম আইনের সব ধারা সিলেটে প্রযোজ্য নয়। পর্যটনকেন্দ্রগুলো প্রাকৃতিক স্থাননির্ভর হওয়ায় বেশির ভাগ ছুটির দিনে পর্যটকদের আনাগোনা হয়। পর্যটকদের সুবিধায় ছুটির দিনে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্তে ছাড় দেওয়া প্রয়োজন।

সভায় ছুটির দিনে এলাকাভিত্তিক কিছু কিছু দোকান খোলা রাখা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের লাইসেন্সপ্রাপ্তি সহজীকরণ, রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা ঘন ঘন চাকরি পরিবর্তন করেন বিধায় রেস্টুরেন্টগুলোর জন্য আইনকানুন শিথিলকরণ, ছোট ছোট দোকানকে শ্রম আইন থেকে অব্যাহতি প্রদান, নতুন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রচারণার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের অবহিতকরণ, ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা না করাসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়।

দাবির বিষয়ে বিবেচনা করা হবে জানিয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের উপমহাপরিদর্শক তপন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘সরকারের শ্রম আইন অনুযায়ী কলকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শ্রমিকের নিরাপত্তা বিধান ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী ও কলকারখানার মালিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে শ্রমিকের কল্যাণে কাজ করতে চাই। উন্নত বিশ্বে শ্রমিকদের যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে, আমাদের দেশে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। শ্রমিকদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হলে দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, সঙ্গে বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশের সুনাম বাড়বে।’ তিনি শ্রমিকের অধিকার রক্ষা ও শ্রম আইন বাস্তবায়নে সিলেট চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিলেট চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি চন্দন সাহা, সহসভাপতি তাহমিন আহমদ, পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, আলীমুল এহছান চৌধুরী, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির, খন্দকার ইসরার আহমদ, সালেহীন এফ নাহিয়ান, সাবেক সহসভাপতি হাজি মো. দিলওয়ার হোসেন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ছালেহ আহমদ চৌধুরী, খালেদ আহমদ, নীহার কুমার রায় ও মো. সামছুল আলম।