চট্টগ্রামে ৩৮ করদাতাকে সম্মাননা

চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে সেরা করদাতাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: প্রথম আলো
চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে সেরা করদাতাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম কর অঞ্চলে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা ৩৮ করদাতাকে সম্মাননা দিয়েছে আয়কর বিভাগ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন এ কে খান গ্রুপ পরিবারের তিন ভাই সদরউদ্দিন খান, আবু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন খান ও সালাহউদ্দিন কাসেম খান। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন ওই পরিবারেরই সদস্য শামিম হাসান।

আজ বুধবার সকালে নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে সেরা করদাতাদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সেরা করদাতাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে জিডিপির আকার চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে করদাতার সংখ্যা মাত্র দ্বিগুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ই অবকাঠামোসহ বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়ন চাই। কিন্তু কর না দিলে উন্নয়ন হবে কীভাবে। কর গ্রহণকে উৎসাহিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সেরা করদাতাদের সম্মানিত করছে।’

তথ্যমন্ত্রী কর প্রদানকে উৎসাহিত করতে জেলা থেকে উপজেলা পর্যায়ে এ কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাঁরা কর দেওয়ার উপযুক্ত, তাঁরা যথাযথভাবে কর দিলে বাংলাদেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।

কর কমিশনার আবুল কালাম কায়কোবাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাটের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক, কর আপিলাত ট্রাইব্যুনালের কমিশনার আবু দাউদ, কর আপিল অঞ্চলের কমিশনার হেলাল উদ্দিন সরকার প্রমুখ।

সম্মাননা পেলেন যাঁরা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিটি এলাকার বাইরে চট্টগ্রাম জেলা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার ৩৮ সেরা করদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

কর অঞ্চল অনুযায়ী দীর্ঘ মেয়াদে কর প্রদানকারী, এক বছরে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা এবং ৪০ বছরের কম তরুণ করদাতা ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন এ কে খান গ্রুপ পরিবারের তিন ভাই ও সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী হিসেবে সম্মাননা পাওয়া ওই পরিবারেরই সদস্য শামিম হাসানের পক্ষে তাঁদের গ্রুপের কর্মকর্তারা সম্মাননা গ্রহণ করেন।

নগরীতে দীর্ঘ মেয়াদে করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন এ বি এম এ বাসেত ও আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী। তরুণ করদাতা হিসেবে পেয়েছেন মো. শাহাদাত হোসাইন।

জেলায় সর্বোচ্চ করদাতা পর্যায়ে যথাক্রমে মো. লোকমান, মোহাম্মদ সেলিম ও শেখ নবী, নারী হিসেবে জান্নাতুল মাওয়া, তরুণ পুরুষ করদাতা হিসেবে জাহেদ চৌধুরী এবং দীর্ঘ মেয়াদে মো. হাজি মুছা ও কামাল উল্লাহ সম্মাননা পেয়েছেন।

রাঙামাটি জেলায় সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী হিসেবে লোকমান হোসেন, রফিকুল আলম ও বদিউল আলম, নারী করদাতা হিসেবে চিত্রা চাকমা, তরুণ করদাতা হিসেবে তোফাজ্জল হোসেন এবং দীর্ঘ মেয়াদে আসাদুজ্জামান মহসিন সম্মাননা পেয়েছেন।

সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে বান্দরবান জেলায় মোহাম্মদ নুরুল আবছার, আবদুস শুক্কুর ও অমল কান্তি দাশ এবং নারী হিসেবে মে হ্লা প্রুকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলায় সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে স্বপন চন্দ্র দেবনাথ, মো. নুর আলম ও মোসাম্মৎ ফরিদা আক্তার, নারী করদাতা সুপর্ণা পাল, তরুণ করদাতা শওকত বাহার এবং দীর্ঘ মেয়াদে করদাতা হিসেবে শহীদুল ইসলাম ভুইয়া ও মো. শানে আলমকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে কক্সবাজার জেলায় আতিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু কাউসার ও মোহাং আলমগীরকে, নারী করদাতা হিসেবে কামরুন নাহার, তরুণ করদাতা হিসেবে সাজ্জাদুল করিম এবং দীর্ঘ মেয়াদে হাবিবুল ইসলাম ও রফিকুল হুদা চৌধুরী সম্মাননা পেয়েছেন।

তরুণ করদাতা ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পাওয়া শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সম্মাননা পেয়ে ভালো লাগছে। এ ধরনের আয়োজন নতুন করদাতাদের উৎসাহিত করবে।