এক কেজি পেঁয়াজের দামে দেড় কেজি মুরগি

পেঁয়াজ। ফাইল ছবি
পেঁয়াজ। ফাইল ছবি

বাঙালি রসনায় মুরগির ডিম আর মাংস দুটোই বেশ উপাদেয়। আর এ ডিম ও মাংসে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার হওয়া অনেকগুলো মসলার মধ্যে অন্যতম পেঁয়াজ। অথচ সেই মসলাটিই দামে ছাড়িয়ে গেছে ডিম ও মাংসকে।

নগরের কাঁচাবাজারগুলোতে গতকাল বৃহস্পতিবার  প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আর এক ডজন ডিম ৯৫-১০০ টাকায়। প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেঁয়াজ নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়েনি।

দাম বাড়ায় মানুষের চাহিদাও কমেছে। খুচরা পর্যায়ে আগে যেসব মানুষ এক কেজির কমে পেঁয়াজ কিনতেন না তাঁরা এখন কিনছেন আধা কেজি।

তাঁদের একজন চাকরিজীবী কামরুল হাসান। বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাম কম থাকায় স্বাভাবিকভাবে আগে একসঙ্গে ১-২ কেজি পেঁয়াজ কিনতাম। কিন্তু এখন আধা কেজি কিনলাম। কারণ, এখন দাম বুঝে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, খেতে হচ্ছে।’

পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটাই ভারতের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। সে সময়ে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত ছুঁয়েছিল পেঁয়াজের দাম। তবে গত সপ্তাহে খাতুনগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি পাইকারি বাজারে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কারণে কমেছিল পেঁয়াজের দাম। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবের কারণে অন্য দেশ থেকেও আমদানি করা যায়নি দাবি করে আবারও পেঁয়াজের দাম বাড়াতে শুরু করেন বিক্রেতারা।

গতকাল খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে তুরস্ক ও মিশর থেকে আনা পেঁয়াজ ১৬০ টাকায় এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হয়। খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে—এমন খবরে খুচরা বাজারগুলোতেও বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম।