কুষ্টিয়ায় এসপির উপস্থিতিতে পেঁয়াজের দাম কমল ৪০ টাকা

কুষ্টিয়ার পৌর কাঁচাবাজারে পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত গেলে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি কমে যায় ৪০ টাকা। আজ শনিবার সকাল আটটায় তোলা ছবি। ছবি: তৌহিদী হাসান
কুষ্টিয়ার পৌর কাঁচাবাজারে পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত গেলে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি কমে যায় ৪০ টাকা। আজ শনিবার সকাল আটটায় তোলা ছবি। ছবি: তৌহিদী হাসান

কুষ্টিয়ার পৌরবাজারে আজ শনিবার হঠাৎ তদারকিতে যান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত। সকাল আটটার দিকে তিনি সরাসরি বাজারের পেঁয়াজের আড়তগুলোতে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশের ২০ জনের বেশি সদস্য।

সকাল আটটায় এসপি প্রথমে শহরের এনএস রোডের পাশে পৌরসভার কাঁচাবাজারের আড়াতে যান। সেখানে কয়েকটি পেঁয়াজের আড়তে পেঁয়াজ কেনাবেচার চালান দেখেন এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। আড়তদারেরা জানান, পেঁয়াজ ১৯০ টাকা কেজিতে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এরপর এসপি বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

কয়েকজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গতকাল শুক্রবার খুচরা বিক্রেতারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২২০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। আজ শনিবারও ২৩০ টাকা চাচ্ছেন। আবার কেউ ২২০ টাকা দাম বলছেন। খুচরা বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো ক্রেতা বুঝে দাম হাঁকাচ্ছেন।

আড়তের পাশেই খুচরা বিক্রেতাদের বাজার। সেখানে গিয়ে এসপি তানভীর আরাফাত দাম জিজ্ঞেস করতেই খুচরা বিক্রেতারা কেজিপ্রতি ২০০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছে বলে জানান। এগুলো আড়ত থেকে কিনেছেন ১৯০ টাকা করে।

এসপির তদারকির বিষয়টি বাজারে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত খুচরা বিক্রেতারা পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি শুরু করেন। দ্রুতই মূল্য তালিকা লিখে টাঙিয়ে দেওয়া হয়।

জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এসপিকে জানান, পেঁয়াজ বিক্রিতে আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাদের কারসাজি আছে।

এসপি এস এম তানভীর আরাফাত সাংবাদিকদের বলেন, পেঁয়াজের দাম ইচ্ছেমতো হাঁকা হচ্ছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও আইন প্রয়োগের জন্য তদারকি করতে এসেছেন তিনি। এসে তিনি যেটা দেখলেন, সেটা খুবই দুঃখজনক। বাজারে আসামাত্রই কেজিপ্রতি দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমে গেছে। জেলা প্রশাসক ও ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সবাই মিলে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে, যাতে ভোক্তাদের কোনো ক্ষতি না হয়। তিনি বলেন, বাজারের ভেতর গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে, যেন তিনি চলে যাওয়ার পর বিক্রেতারা দাম আবার না বাড়াতে পারেন।