বিশেষ সুবিধা পাওয়া খেলাপিরা ঋণও পাবেন

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নীতিমালার আওতায় ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন পরিশোধ করা খেলাপিরা নতুন করে ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন। একই সঙ্গে আরও তিন মাস এ সুবিধা বহাল থাকবে। এর ফলে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খেলাপিরা ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন পরিশোধের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রোববার সন্ধ্যায় এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

আগের নির্দেশনায় পুনঃতফসিল সুবিধা নেওয়া খেলাপিদের নতুন ঋণ পাওয়ার সুযোগ ছিল না। এ ছাড়া এবার বিশেষ নিরীক্ষা ছাড়াই টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের এ বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের গত ৩ নভেম্বরের নির্দেশনার আলোকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগের নির্দেশনায় বিশেষ নীতিমালায় পুনঃতফসিলের জন্য করা আবেদন নিষ্পত্তির জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। আর ২০ অক্টোবরের পর নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ না করা এবং পুনঃতফসিল সুবিধা নেওয়ার পর নতুন করে আর ঋণ না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষ নীতিমালায় পুনঃতফসিলের আবেদনের সময়সীমা আরও ৯০ দিন বাড়ানো হলো। পুনঃতফসিল পরবর্তীতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নতুন ঋণ দেওয়া যাবে। আর বিশেষ নিরীক্ষা ছাড়াই টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের ঋণ গ্রহীতাদের এ সুবিধা দেওয়া যাবে।

ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে গত ১৬ মে ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন পরিশোধ সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতায় ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট বা এককালীন জমার বিপরীতে ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করার সুযোগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৯ শতাংশ। আবার ব্যাংক চাইলে পুনঃতফসিলের আগে গ্রাহককে সুদ মওকুফ সুবিধা দিতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এ হিসাবের সঙ্গে একমত নয়। সংস্থাটি বলছে, সব হিসাবে নিলে দেশে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৪০ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। আইএমএফ এসব ঋণ অন্তর্ভুক্ত করেই খেলাপি ঋণের হিসাব করার পক্ষে।