টেকনাফ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আজ রোববার ১৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গত ২১ অক্টোবরের পর আজই সবচেয়ে কম পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় কোনো ট্রলার নেই স্থলবন্দরটিতে। তবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আজ ৪১৩ টন পেঁয়াজ খালাস হয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আবসার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচটি ট্রলারে করে ১৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। দ্রুত শুল্কায়ন করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। 

ভারত রপ্তানি বন্ধের পর মিয়ানমার দিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আজ রোববার পর্যন্ত স্থলবন্দরটি দিয়ে ৩৩ হাজার ২০৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এর মধ্যে ২০ অক্টোবর সবচেয়ে কম আমদানি হয়েছিল। ওই দিন মাত্র ১১৪ টন আমদানি হয়।

টেকনাফ স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার টেকনাফের তিনজন আমদানিকারক এই ১৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এই তিনজন হলেন মো. আরাফাত, মো. মাসুম ও মো. এনাম। আমদানিকারক মো. আরাফাত ২৩ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। আমদানি কেন কমে গেল, জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মিয়ানমারে পেঁয়াজের আমদানিমূল্য বেড়ে গেছে। সেখানে এখন টনপ্রতি ১ হাজার ১৫০ ডলার (কেজিপ্রতি ৯৭ টাকা) করে কিনতে হচ্ছে। মৌসুমের শেষে পুরোনো পেঁয়াজের মানও ভালো নয়। এ জন্য আমদানি কম হচ্ছে।

মিয়ানমার থেকে আমদানি কমে গেলেও এখন চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়তে পারে। গত বৃহস্পতি ও শনিবার বন্দর দিয়ে আমদানি কম হলেও আজ বেড়েছে।