'পৃথিবী মায়ের মতো, এর যত্ন নিতে হবে'

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে যুব সম্মেলনে তরুণেরাই ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মত দেন বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে যুব সম্মেলনে তরুণেরাই ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মত দেন বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, মানুষকে টেকসই জীবনযাত্রায় উদ্বুদ্ধকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারসহ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো ও ঝুঁকি প্রশমন কর্মসূচি বাস্তবায়নে যুবসমাজই নেতৃত্ব দিতে পারে।

বাংলাদেশে এখন মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশই এখন যুব। তাই দেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যুবসমাজের অঙ্গীকার হোকÑ‘পৃথিবী মায়ের মতো, তার যত্নœনিতে হবে’।

মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে যুব সম্মেলনে আজ রোববার বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আয়োজনে এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের উপদেষ্টা ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য আইনুন নিশাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম মঞ্জুরুল হান্নান খান এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি ও নগর উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালক মো. লিয়াকত আলী।

সম্মেলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আইনুন নিশাত বলেন, ‘আবহাওয়া ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। শরৎ, হেমন্ত ও বসন্ত ঋতু হারিয়ে যাচ্ছে। ১৮৬০ সালে শিল্পবিপ্লবের সময় জলবায়ু বিপর্যয়ের শুরু, আর আমরা এই হিসাব শুরু করলাম ১৯৯০ সালে। তাই পৃথিবী টিকিয়ে রাখতে কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ ক্ষতিকর গ্যাসগুলো যত কম নিঃসরণ করা যায়, ততই মঙ্গল।’

এ রকম বিষয়ে তরুণদের সম্পৃক্ত করায় ব্র্যাককে ধন্যবাদ জানিয়ে এস এম মঞ্জুরুল হান্নান খান বলেন, শিল্পোন্নয়নের নামে যেভাবে উন্নত দেশগুলো দূষণ ছড়াচ্ছে, তার শিকার পৃথিবীর সবাই। আজকের শিশু তার মা-বাবার তুলনায় গড়ে চার ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রায় জন্ম নিচ্ছে। এই বিপর্যয় বাড়তে থাকায় ২০৫০ সালে ৯৩০ কোটি মানুষের পৃথিবীর অবস্থা হবে খুবই খারাপ।

সম্মেলনে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাব বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের ফেলো মো. গোলাম রাব্বানি। এরপর ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির কার্যক্রম তুলে ধরেন এই কর্মসূচির প্রধান আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমাদের আগের প্রজন্ম যে অন্যায় করে গেছে, তার ফল আমরা ভোগ করছি। এই জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে, উন্নয়নের ধারাটা যেন টেকসই হয়।’