পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়াতে পারে ভারত

পেঁয়াজ। ফাইল ছবি
পেঁয়াজ। ফাইল ছবি

পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাড়াতে পারে ভারত। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

অসময়ে বৃষ্টির কারণে ভারতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার দেশটিতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা।

সেপ্টেম্বর মাসের শেষ নাগাদ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে হঠাৎ করেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হতো। কিন্তু অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেও মহারাষ্ট্রসহ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী প্রদেশগুলোতে বৃষ্টি হওয়ায় ভারতে পেঁয়াজের দাম এখনো কমেনি। এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে পারে দেশটি।

নভেম্বরের শুরুর দিকে ভারতের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৫ রুপিতে ওঠে। যদিও এখন তা ৪০ রুপিতে নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল হর্টিকালচার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এই তথ্য দিয়েছে।

গতকাল সোমবার ইন্ডিয়ান ডিপার্টমেন্ট অব কনজ্যুমার অ্যাফেয়ার্সের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘দাম কমলে আমরা আবার পেঁয়াজ রপ্তানির চিন্তা করব। জানুয়ারি মাস থেকে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার কথা। পাইকারি বাজারে দাম ২০ রুপির নিচে নামলে আমরা রপ্তানি শুরু করতে পারি।’ রয়টার্স এ ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে ই-মেইল করে জবাব পায়নি।

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের গোদগাঁও গ্রামের ৭৯ বছর বয়সী চাষি শখরাম দারেকার বলেন, অক্টোবর মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তাঁর দুই একর জমিতে চাষ করা পেঁয়াজের প্রায় পুরোটাই নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি চাষিরা তখন শীতকালীন ফসলের জন্য পেঁয়াজের চারা প্রস্তুত করছিলেন। বৃষ্টিতে ওই চারাও নষ্ট হয়েছে।

ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এখন মিসর, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি করছে।