রপ্তানি পণ্যবাহী ৬৫ কনটেইনার ছাড়াই বন্দর ছাড়ল জাহাজ

রপ্তানি পণ্যবাহী ৬৫ কনটেইনার না পেয়ে বন্দর ছেড়েছে একটি জাহাজ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটায় ‘এমভি মেরিন বিয়া’ জাহাজটি বন্দর জেটি ছেড়ে সিঙ্গাপুর বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। গতকাল মধ্যরাতে পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার হলেও শেষ মুহূর্তে রপ্তানি পণ্যবাহী এসব কনটেইনার জাহাজে তোলা যায়নি। এসব কনটেইনার চট্টগ্রামের বিভিন্ন ডিপোতে আটকা পড়েছিল।

‘এমভি মেরিন বিয়া’ জাহাজটিতে রপ্তানি পণ্যবাহী ২৩০ কনটেইনার বোঝাই করার কথা ছিল। গতকাল বুধবার ভোরে কর্মবিরতি শুরুর আগে ডিপো থেকে ৮০ কনটেইনার বন্দরে এনে জাহাজে তোলা হয়েছিল। কর্মবিরতি শুরুর পর ডিপো থেকে আর কনটেইনার বন্দরে নেওয়া যায়নি। গতকাল গভীর রাতে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর আবারও কিছুসংখ্যক কনটেইনার ডিপো থেকে বন্দরে নেওয়া হয়। এরপরও নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী জাহাজ ছেড়ে যাওয়ায় ৬৫ কনটেইনার ডিপো থেকে এনে জাহাজে তোলা যায়নি। এসব কনটেইনারে রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক। 


এমভি মেরিন বিয়া জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি জিবিএক্স লজিস্টিকসের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক নুরুল কবির আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, কর্মবিরতি না হলে রপ্তানি পণ্যবাহী সব কনটেইনার নিয়ে বন্দর ছেড়ে যেত জাহাজটি। এই জাহাজে থাকা রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। সেখান থেকে ইউরোপগামী বড় জাহাজে তুলে দেওয়া হবে।

আটকে পড়া ৬৫ কনটেইনার কাল শুক্রবার বা পরদিন শনিবার বিভিন্ন জাহাজে তুলে দেওয়া হবে। চট্টগ্রামে এক-দুদিন দেরি হওয়ায় এসব রপ্তানি পণ্য হয়তো বিদেশি ক্রেতারা সময়মতো হাতে পাবে না।

চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক এস এম আবু তৈয়ব গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এক দিনের কর্মবিরতির প্রভাবে রপ্তানি খাতে কী প্রভাব হতে পারে, এর উদাহরণ এটি। এরপরও ভালো যে কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এক ঘণ্টাও কর্মবিরতি কেউ না ডাকে, সে ব্যাপারে দেশের স্বার্থেই সতর্ক থাকা উচিত।

বন্দর সচিব ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, রাতে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর বন্দরের পুরো কার্যক্রম সচল হয়েছে। জাহাজ ছাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে বন্দরে যেসব রপ্তানি কনটেইনার ছিল, তা জাহাজীকরণ করা হয়েছে। তবে ডিপো থেকে বন্দরে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার আনতে না পারায় কিছুসংখ্যক কনটেইনার রপ্তানি হয়নি। এগুলো কালকের মধ্যে জাহাজীকরণ করা সম্ভব হবে।