এবার ছোট গ্রাহকদের কাছে যেতে চায় ব্যাংক এশিয়া

২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে করে ব্যাংক এশিয়া। ছবি: প্রথম আলো
২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে করে ব্যাংক এশিয়া। ছবি: প্রথম আলো

‘সুন্দর আগামীর জন্য’ স্লোগান নিয়ে ২০ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল ব্যাংক এশিয়া। এই সময়ে বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকটি অনেক ঘটনার সাক্ষী। ব্যাংকটি দুটি বিদেশি ব্যাংকের কার্যক্রম অধিগ্রহণ করেছে। ইসলামিক ব্যাংকিং সেবায় মুনাফা ভাগের মডেল প্রথম চালু করেছে। আর এখন এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে পেছনে ফেলেছে অনেক ব্যাংককে। ২১ বছরে এসে ব্যাংকটি এখন করপোরেট সেবার পরিধি কমিয়ে এসএমই ও রিটেইল ব্যবসায় মনোযোগ দিতে চায়।

২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরফান আলী এসব তুলে ধরেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. জিয়াউল হাসান মোল্লা প্রমুখ।

এমডি মো. আরফান আলী বলেন, আগামী ৫ বছরে প্রতিটি নাগরিকের ব্যাংক হিসাব হবে। আর আর্থিক সেবা দিতে প্রতিটি গ্রামে বসবে কিয়স্ক। সরকার সারা দেশে যে ভাতা দেয়, তার অর্ধেক যাবে ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে। এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ব্যাংক সেবার বিকাশ ঘটবে।

এমডি আরও বলেন, বর্তমানে ব্যাংকের ঋণের ৬৫ শতাংশ করপোরেট খাতে। আমরা আগামী ৫ বছরে তা ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনব। ৫০ শতাংশ ঋণ যাবে এসএমই ও রিটেইল খাতে।

এ সময় তিনি ২০ বছরে ব্যাংকের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। এমডি বলেন, ব্যাংক এশিয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা আব্দুর রউফ চৌধুরী। তাঁর উদ্যোগকে সফল করতে এগিয়ে এসেছিলেন আনিসুর রহমান সিনহা, মোহাম্মদ সাফওয়ান চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী এম. সাঈদুজ্জামান সহ বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য শিল্পপতি।

এমডি ব্যাংক এশিয়ার লক্ষ্য তুলে ধরেন বলেন, এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রচলন করা, যার মাধ্যমে নিশ্চিত হবে দেশের সবার ব্যাংকিং সেবা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে। যা জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথকে সমৃদ্ধ করবে। মানুষের মর্যাদা এবং অধিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূরীভূত হবে।

এক নজরে ব্যাংক এশিয়ার কার্যক্রম

১৯৯৯-কার্যক্রম শুরু

২০০১-কানাডিয়ান নোভা-স্কশিয়া ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ

২০০২-মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংক অব পাকিস্তানের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ

২০০৩-অনলাইন ব্যাংকিং সেবা চালু

২০০৪-কৃষি ঋণ কার্যক্রম শুরু

২০০৭-এসএমই সেবা চালু

২০০৮-ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা চালু

২০১১-গ্রীন ব্যাংকিং সেবা চালু

২০১৪-প্রথমবারের মতো এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু

২০১৪-পেয়োনিয়ার পেমেন্ট গেটওয়ে চালু

২০১৬-কৃষকদের জন্য কার্ড সেবা চালু