বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাঙালিরা চাকরিও পেত না, ব্যবসায়ীও হতে পারত না: সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেছেন, ‘ব্যাংক ভালো না থাকলে দেশের অর্থনীতি ভালো থাকবে না। একটি দেশের ব্যাংক যত শক্তিশালী, সেই দেশের অর্থনীতিও তত শক্তিশালী। দেশ স্বাধীন হলো বলেই আজকের মনজুর এলাহী এই অবস্থানে। বঙ্গবন্ধুকে আমি প্রতিদিন সম্মান জানাই। বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাঙালিরা চাকরিও পেত না। ব্যবসায়ীও হতে পারত না।’
এমটিবির উদ্যোগে স্থাপিত ‘এমটিবি মিউজিয়াম’, পোড়ামাটির তৈরি মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের টেরাকোটা ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে আজ সোমবার ২০২০ সালের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন অনুষ্ঠান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এসব কথা বলেন। বাংলামোটরে এমটিবি টাওয়ারে এ অনুষ্ঠান হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এখানে রাজনীতির বিষয় নেই। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে এটা আমাদের ছোট চেষ্টা। ইতিহাস ধরে রাখতেই এ উদ্যোগ; বঙ্গবন্ধুর ১০০তম জন্মদিনে এটা নিয়ে যাতে আমরা গর্ব করতে পারি। এটা আমাদের জন্য মাইলস্টোন।’
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকের এমন উদ্যোগ থাকা দরকার। আমরা বাঙালিরা ইতিহাস মনে রাখতে চাই না। কিন্তু ব্যাংকই জাতির মেরুদণ্ড। ব্যাংক টাকা জমা নেয়, আবার ঋণ দেয়। এর মাধ্যমে দেশে নতুন বিনিয়োগ হয়। কর্মসংস্থান হয়।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মো. হেদায়েতুল্লাহ বলেন, আজ ব্যাংকের ২০ বছর পূর্তি হলো। অনেক অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি জমে গেছে। এসব ধরে রাখতেই এ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে বোঝা গেল, ব্যাংক শুধু টাকা তৈরির কারখানা নয়।
অনুষ্ঠানে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান বলেন, ‘জাদুঘরে দেশের ব্যাংকিং ইতিহাস তুলে ধরা হবে—পুরোনো ক্যালকুলেটর, লেজার, এসব স্থান পাবে। ব্যাংক অব আমেরিকারও এমন একটি জাদুঘর আজে। এমনই একটি জাদুঘর করার ইচ্ছা আমাদের আছে।’
আনিস এ খান বলেন, ‘২০০৭ সালে এক প্রশিক্ষণে বেইজিং গিয়েছিলাম। দুপুরের খাওয়ার সময় ব্যাংকের বিশাল জাদুঘর দেখলাম। আমি ১১ বছর এমটিবিতে কাজ করলাম। প্রতিষ্ঠাতাদের অনেকে আছে, আবার অনেকে নেই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে অতীত ধরে রাখা প্রয়োজন। তাই এমন উদ্যোগ। এ থেকে অনেক শিক্ষা পাওয়া যাবে।’
অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির পরবর্তী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি ১ ডিসেম্বর থেকে দায়িত্ব নেব। অতীত ধরে রাখার জাদুঘর খুবই প্রয়োজন। বাংলাদেশে আর কোনো ব্যাংকে এমন জাদুঘর আছে বলে আমার জানা নেই। মানুষ মনে করে, ব্যাংকাররা শুধু টাকা গুনবে, মুনাফা করবে। আজ বোঝা গেল, ব্যাংকাররা সবই করতে পারি। ছোট করে হলেও জাতির জনকের প্রতি সম্মান দেখানো হলো।’
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালে ক্যালেন্ডারের পটভূমি তুলে ধরেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। আর টেরাকোটা টাইলস দিয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের পটভূমি ফুটিয়ে তোলার কথা তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আজহারুল ইসলাম।