১০ পেঁয়াজ আমদানিকারকের সঙ্গে কথা বলেছে শুল্ক গোয়েন্দা
ব্যবসায়ীদের কাছে কী পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে তা আগামীকালের মধ্যে জানা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম। আজ সোমবার বিকেলে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
নিয়ন্ত্রণহীন পেঁয়াজের বাজারের তথ্য অনুসন্ধানে আজ সোমবার সকাল থেকে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে ১০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরির জন্য বিভিন্ন মহল থেকে মজুরদারদের দায়ী করছেন। তাঁদের ধারণা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। এ তথ্য যাচাই করতে অন্তত ৩৩২ পেঁয়াজ আমদানিকারকের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে শুল্ক গোয়েন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দার কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৬ দশমিক ৪৭ মেট্রিক টন। তারপরও বাজার কেন লাগামহীন তা খতিয়ে দেখছে শুল্ক গোয়েন্দা। অতিরিক্ত মূল্যের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। সে কারণে বড় ৪১ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ। আজ সোমবার ১৪ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০ জন শুল্ক গোয়েন্দায় হাজির হন।
শুনানিতে অংশ নিতে আসা আমদানিকারকদের দাবি, তারা যে দামে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন সীমিত লাভে তার চেয়ে এক থেকে ২ টাকা বেশি দামে বিক্রি করেছেন। আমদানির একদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও তাঁরা জানান। মজুদের কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম বাড়িয়েছেন বলে দাবি করেন আমদানিকারকেরা। কয়েকজন জানান, আগস্টে ২২ টাকা দরে, সেপ্টেম্বরের শুরুতে ৪১/৪২ টাকা টাকা দরে, দাম আরও বাড়ার পর সর্বোচ্চ ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি করেছে ভারত। বন্ধ করে দেওয়ার পরে আর পেঁয়াজ আমদানি করেননি বলে তারা দাবি করেন।
মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে ২৭ জনকে। এঁদের সঙ্গে যুক্ত হবেন আজ অনুপস্থিত থাকা চারজন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যেসব ব্যবসায়ী একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছে আমরা মূলত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। এখনই কারও নাম উল্লেখ করার মতো সময় হয়নি।’