ব্যবসায় কোথায় কত সময় লাগে

ব্যবসা-বাণিজ্যে উদ্যোক্তারা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েই সাধারণত এই বিনিয়োগ করে থাকেন তাঁরা। তাই ব্যবসা-বাণিজ্যে কোন কাজটি করতে কত সময় লাগে, তা মনে রাখতে হয়।

বিশ্বব্যাংক প্রতিবছর ব্যবসায় সহজ করার সূচক প্রকাশ করে থাকে। সেখান কোন কাজ করতে বাংলাদেশে কত সময় লাগে, সেই তথ্য পাওয়া যাবে। বিশ্বব্যাংকের এই তথ্য–উপাত্ত নতুন উদ্যোক্তাদের কাজে লাগতে পারে। এখানে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনের সময়ের হিসাব-নিকাশ দেওয়া হলো।

ব্যবসা শুরু করতে নিবন্ধন নিতে হয়। এ জন্য ৯ ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এসব কাগজ অনুমোদন হওয়ার নিবন্ধন সনদ পেতে এ দেশে গড়ে সময় লাগে সাড়ে ১৯ দিন। নিবন্ধনের পর উৎপাদনের উদ্যোক্তারা কারখানা তৈরি করবেন। অন্যরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য ভবন নির্মাণ করতে মনোযোগী হবেন। ভবন বা কারখানা নির্মাণের অনুমতি পেতে লাগবে গড়ে ২৭৪ দিন বা ৯ মাসের বেশি। কারখানা বা ব্যবসায়প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ–সংযোগ পেতে ১২৫ দিন বা ৪ মাসের বেশি। জমি কিনে কারখানা করবেন, তাতেও কম সময় লাগবে না। নিবন্ধন, নামজারিসহ জমিটি নিজের হতে সময় লাগবে গড়ে ২৭১ দিন বা ৯ মাসের বেশি।

এবার আসি, কোনো উদ্যোক্তা যখন তাঁর পণ্য বিদেশে রপ্তানি করবেন, তখন কত সময় লাগবে। কারখানা থেকে বন্দরে গিয়ে পণ্যের চালানের কাগজপত্র অনুমোদন করাতে ১৪৭ ঘণ্টা বা ৬ দিনের বেশি সময় লাগবে। কাগজপত্র অনুমোদন করিয়ে জাহাজে ওঠানো বা সীমান্ত পার হতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৭ দিন।

কোনো প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়ার আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে গড়ে চার বছর সময় লাগে। প্রতিবছর করপোরেট কর, মূসক, পৌর কর, জমির খাজনা, গাড়ির করসহ মোট ৩৩ বার কর দেন ব্যবসায়ীরা। এসব কর দিতেই বছরে ৪৩৫ ঘণ্টা ব্যয় করতে হয়।