৫০ টাকা ধার করে বাড়ি ছাড়ার গল্প

নিজের ফলের দোকানে আলী হোসেন। জুয়েল শীল
নিজের ফলের দোকানে আলী হোসেন। জুয়েল শীল

এবার ঠিক করলেন, আর চাকরি নয়, এবার ব্যবসা করতে হবে। কিন্তু দোকান দেওয়ার সামর্থ্য নেই। ২০০৩ সালে নগরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এলাকায় আরেকজনের সঙ্গে ভাগে ভাসমান দোকান দেন। দোকানের প্রাথমিক মূলধন সাড়ে সাত হাজার টাকার পুরোটাই দেন তাঁর সেই অংশীদার। মূলধন না থাকায় কেবল পরিশ্রম ছিল আলী হোসেন আরিফের। সেখান থেকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই বহদ্দারহাট এলাকায় আলী হোসেনের মালিকানায় চলে আসে ১১টি ফলের দোকান। একেকটি দোকানের মূলধন ছিল ৮০ হাজার টাকার মতো। এরপর আলী হোসেনের ব্যবসার পরিসর আরও বেড়েছে। নগরের স্টেশন রোডে ১০ লাখ টাকা জামানত দিয়ে একটি দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন ২০১০ সালেই। এক বছর পরে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা দিয়ে সেই দোকান কিনে নেন। এখন তাঁর দোকানের সংখ্যা আরও বেড়েছে। ভাইয়েরা তাঁকে সহায়তা করেন। নগরের বহদ্দারহাটেও আরেকটি দোকান কিনেছেন তিনি।

আলী হোসেন জানালেন, চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৬০০ কার্টন ভর্তি বিভিন্ন ফল খালাস হয়, যার মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা। এগুলো দোকানে আসার পর গাড়িতে করে ঢাকা, গাজীপুর, ফেনী, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যান। তিনি আরও বললেন, ‘আমরা সময়মতো সরকারের কর পরিশোধ করে থাকি। আর দোকানের কর্মচারীদের মূল্যায়ন করি বেশি। কারণ, তাঁদের হাত ধরেই আমার ব্যবসায়িক সফলতা।’ সব শেষে আলী হোসেন বললেন, ‘মেধা ও সততার পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম করলে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারে না।’