খেলাপি ঋণ যদি না থাকত...

সিপিডির সৌজন্যে
সিপিডির সৌজন্যে

বিশেষ নীতিমালার আওতায় খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের জন্য আবেদন করতে আরও ৯০ দিন সময় দিয়ে বিশেষ নীতিমালা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উচ্চ আদালতের গত ৩ নভেম্বরের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, ২ শতাংশ এককালীন কিস্তি, ৯ শতাংশ সুদ ও এক বছরের বাড়তি সময় বা গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরের জন্য খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ দিয়ে গত ১৬ মে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আদালত ঘুরে সেটিই কার্যকর থাকল। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্দ মানের ঋণখেলাপিরা বিশেষ এ সুবিধা পাবেন। আবার পুনঃ তফসিলের পর ঋণখেলাপিরা নিতে পারবেন নতুন ঋণও।

গত সপ্তাহে এই সুবিধা চূড়ান্ত হওয়ার মধ্যেই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের খেলাপি ঋণের তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্য অনুযায়ী দেশের খেলাপি ঋণ এখন ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। আর গত ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২২ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। আর গত জুনে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ক্রমাগত সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরেও খেলাপি ঋণ বেড়েই চলছে।

বিপুল পরিমাণ ঋণখেলাপি ঋণের তথ্য পেয়ে এখন কেউ আফসোস করেই বলতেই পারেন, আহা! এত খেলাপি ঋণ যদি না থাকত, কত কীই–না করা যেত। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গত জুন মাস পর্যন্ত খেলাপি ঋণের হিসাব দিয়ে এ নিয়ে কিছু মজার তথ্য দিয়েছে। সেটাই বরং দেখা যাক। যেমন ১ লাখ ১২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকায় পদ্মা সেতুর সড়ক অংশের সমান ৩টি সড়ক সেতু, অথবা রেল লিংকের সমান ৩টি রেল সেতু, বা মাতারবাড়ীর মতো ৩টি বিদ্যুৎ প্রকল্প, অথবা ঢাকা মেট্রোরেলের ৫টি প্রকল্প, বা দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং ঘুমধুমের মতো ৬টি রেলপথ কিংবা রামপালের মতো ৭টি বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা যেত।

আহা, এসব তথ্য যদি নীতিনির্ধারকেরা একটু মাথায় রাখতেন!