প্রথম প্রজন্মের হাত ধরে নেতৃত্বে দ্বিতীয় প্রজন্ম

উদ্যোক্তাদের একজন হাসান মাহমুদ রাজার দুই ছেলে এখন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে
উদ্যোক্তাদের একজন হাসান মাহমুদ রাজার দুই ছেলে এখন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে

আগেই বলেছি, ইউনাইটেড গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছিল চার বন্ধুর হাত ধরে। পরে এসে যুক্ত হন আরও দুই বন্ধু। অর্থাৎ ছয় বন্ধুর প্রতিষ্ঠান এটি। এখন এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে যুক্ত হয়েছেন তাঁদেরই সন্তানেরা। বর্তমানে ইউনাইটেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন মঈন উদ্দিন হাসান রশিদ। যিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজার ছেলে। এ ছাড়া পরিচালক হিসেবে আছেন আকতার মাহমুদ রানার ছেলে নাসিরুদ্দিন আকতার রশীদ ও আহমেদ ইসমাইল হোসেনের ছেলে মালিক তালহা ইসমাইল বারি। সহযোগী পরিচালক হিসেবে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ফরিদুর রহমান খানের ছেলে ফাহাদ খান ও আবুল কালাম আযাদের ছেলে ওয়াসেকুল আজাদ।

এ ছাড়া হাসান মাহমুদ রাজার আরেক ছেলে নিজামউদ্দিন হাসান রশিদ দায়িত্ব পালন করছেন ইউনাইটেড চা বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের। আকতার মাহমুদ রানার অন্য দুই ছেলের মধ্যে শারফুদ্দিন আকতার রশিদ আছেন ইউনিমার্টের মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ও কুতুব উদ্দিন আকতার রশিদ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে রয়েছেন।

খোন্দকার মইনুল আহসানের ছেলে খন্দকার জায়েদ আহসান ও ফরিদুর রহমান খানের মেয়ে রাফিয়া খানও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে ইউনাইটেড গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এরই মধ্যে। সব মিলিয়ে গ্রুপের উদ্যোক্তা ছয় বন্ধুর ১০ ছেলেমেয়ে এখন যুক্ত হয়েছেন গ্রুপের সঙ্গে।

নতুন প্রজন্ম বা সন্তানদের প্রতি ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শ কী জানতে চাইলে হাসান মাহমুদ রাজাসহ প্রথম প্রজন্মের উদ্যোক্তারা সমস্বরে বলেন, ‘ব্যবসা করতে গিয়ে এরা যাতে কখনোই ব্যাংকনির্ভর না হয়। কারণ, ব্যাংকঋণ কোম্পানির প্রকৃত শক্তি বা সামর্থ্যকে অনেক কমিয়ে দেয়। তাই দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রতি আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, গ্রো উইথ ইউর ওন মানি অর্থাৎ নিজের অর্থে বড় হও। এ ছাড়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা, প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নম্রতা বজায় রাখবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

এ প্রসঙ্গে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈন উদ্দিন হাসান রশিদ বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি নীতি আছে। সেটি হলো লিড, ফলো, অর গেটআউট। অর্থাৎ নিজে নেতৃত্ব দাও অথবা যিনি সফল নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁকে অনুসরণ করো, তা না হলে জায়গা ছেড়ে দাও। এ কারণে এখন পর্যন্ত গ্রুপের এমডি পদে চারবার নেতৃত্ব বদল হয়েছে।

মঈন উদ্দিন হাসান রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা যখন কোনো বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিই, সেটি যদি সফল না হয়, তাহলে কেন সফল হয়নি, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হয় পর্ষদের কাছে। ব্যর্থতার পেছনে যৌক্তিক কারণ থাকলে তখন সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়।’