দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ক্রেতার নাভিশ্বাস তোলা পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ার পথে। বিদেশির পর এবার দেশি পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় এই অবস্থার তৈরি হচ্ছে। গতকাল রাজশাহীর বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।

গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে। গত সপ্তাহে দাম ২০০ টাকার কাছাকাছি থাকার সময়েও বাজারে পেঁয়াজের সংকট ছিল। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেক ক্রেতাই পুরো সপ্তাহের বাজার করেন। দুই তিন দিন পর দাম আরও কমতে পারে এমন আশঙ্কায় গতকাল থেকেই পেঁয়াজ মজুত করা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজশাহীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়, মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। গত তিন থেকে চার দিন আগেও জাতভেদে দাম ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। তবে বাজারে এদিন দেশি পুরোনো পেঁয়াজ দেখা যায়নি। একসময় এ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বস্তায় বস্তায় মজুত করে রাখছিলেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছিল।

বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানান, তারা এখন খুব বেশি পেঁয়াজ কিনে দোকানে রাখছেন না। কারণ, পেঁয়াজের দাম দু–এক দিনের মধ্যে আরও কমে আসবে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। বিনোদপুর বাজারের খুচরা বিক্রেতা শাহিন মিয়া বলছিলেন, দেশি পুরোনো পেঁয়াজ রাখলেই লস। নতুন পেঁয়াজ ওঠায় ক্রেতারাও সেগুলোই বেশি কিনছেন।

নিউমার্কেটের কাঁচাবাজারে তরকারি কিনতে এসেছিলেন মাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিএকটি ছাপাখানায় কাজ করেন তিনি। গতকাল বাজার থেকে দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেল তাঁকে। মাইদুলও বলছিলেন, কয়েক মাস পর এক সঙ্গে এতগুলো পেঁয়াজ কিনলেন তিনি। চড়া দামের কারণে এত দিন পেঁয়াজ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছেন।

পুঠিয়ার পেঁয়াজ চাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি গত বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন মাত্র ২ হাজার ২০০ টাকায়। গতকাল শুক্রবার মণপ্রতি দাম আরও ৩০০ টাকা কমে গেছে। 

এদিকে গত বুধবার থেকে টিসিবি রাজশাহী নগরের আটটি পয়েন্টে ২৪ টন করে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। আগে এক দিনে বিক্রি হতো আট টন। দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা। টিসিবি কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁদের বিক্রি বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসা শুরু করছে।

টিসিবির আঞ্চলিক অফিসের প্রধান কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার বলেন, পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত তাঁরা পেঁয়াজ বিক্রি চালিয়ে যাবেন।