প্রত্যাশা এক অঙ্কের সুদহার বাস্তবায়ন

>বিদায়ী ২০১৯–এর শুরুটা ভালো ছিল, শেষটা তেমন ভালো হলো না। শুরুতে ছিল অনেক প্রতিশ্রুতি, শেষটা ছিল অনেক ক্ষেত্রেই আশাভঙ্গের। কারণ, চাপের মুখে আছে অর্থনীতি। অর্থনীতির সঙ্গে যাঁরা নানাভাবে সম্পর্কিত, তাঁরা কীভাবে দেখছেন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে। কেমন গেল বিদায়ী বছরটি। অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো কী কী। তাহলে নতুন বছরে যাচ্ছি কী নিয়ে, প্রত্যাশাগুলো কী। ঠিক এই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল দেশের বিশিষ্ট কয়েকজন অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে। তাঁরা অর্থনীতির মূল্যায়ন যেমন করেছেন, তেমনি বলেছেন কী তাঁরা চান, কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে অর্থনীতি।
আবুল বশর চৌধুরী
আবুল বশর চৌধুরী

কেমন গেল
২০১৭ বা ২০১৮ সালের তুলনায় সার্বিকভাবে ২০১৯ সাল অনেক ভালো কেটেছে। ২০১৯ সালে রাজনৈতিক-সামাজিক স্থিতিশীলতা ছিল। বছরের শেষের দিকে টাকার ভারসাম্যমূলক অবমূল্যায়ন হয়েছে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্যের উচ্চগতি বা বাজার সংশোধনে ব্যবসায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সরকারিভাবে ঘোষিত ব্যাংক সুদের হার এক অঙ্কে ব্যাংকগুলো নামিয়ে না আনলেও আগের বছরের তুলনায় কম হওয়ায় ব্যবসায় ও শিল্পে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তবে দেশের পুঁজিবাজার অর্থনীতিতে তার যথাযথ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি অনুপাতে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানও হয়নি।

চ্যালেঞ্জ
শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম চালিকাশক্তি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক বর্তমানে যে খারাপ অবস্থায় রয়েছে, তা থেকে উত্তরণই মূল চ্যালেঞ্জ। কারণ অর্থায়ন না হলে শিল্প-বাণিজ্যের বিকাশ হবে না। আবার পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে যে মন্থরগতি, তা থেকে বেরিয়ে গতি ফেরাতে হবে। শুধু তৈরি পোশাকের রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল না থেকে নতুন নতুন পণ্য ও বাজারে নজর দিতে হবে। 

তিন প্রত্যাশা
১. ব্যাংকিং খাতে সরকার-ঘোষিত এক অঙ্কের সুদহার বাস্তবায়ন।
২. দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
৩. দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে পদক্ষেপ নেওয়া।

আবুল বশর চৌধুরী
চেয়ারম্যান, বিএসএম গ্রুপ
ও পরিচালক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি