ফ্রুট ড্রিঙ্কের মান পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল বিএসটিআই

ফলের রসের পানীয় বা ফ্রুট ড্রিঙ্কের মান পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) কাউন্সিল। আজ মঙ্গলবার সংস্থাটির ৩৩তম কাউন্সিল সভায় ফ্রুট ড্রিংক ছাড়াও ওয়েফার বিস্কুট ও সোলার ব্যাটারিকে বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে।

এর মানে হলো এখন থেকে বিএসটিআই নির্ধারিত মান অনুযায়ী পণ্যগুলো তৈরি হচ্ছে কি না, তা যাচাই করতে পারবে। বিএসটিআই জানিয়েছে, এত দিন ফ্রুট জুস বা ফলের রসের মান ঠিক করা ছিল, তবে তা মানা বাধ্যতামূলক ছিল না। বাজারে বহুল প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ড্রিংক বিক্রি হয়, যা শিশুদের পছন্দের।

বিএসটিআইয়ের মান কাঠামো অনুযায়ী, জুস বা ফলের রসে ৮৮ শতাংশ প্রাকৃতিক উপাদান বা পাল্প দিতে হয়। আমের জুস হলে তাতে আম থাকতে হবে ওই পরিমাণ। কিন্তু বাজারে তুলনামূলক কম দামে যেসব ফ্রুট ড্রিংক পাওয়া যায়, তাতে পাল্পের পরিমাণ ১০ শতাংশের আশপাশে থাকে।

বিএসটিআইয়ের মান বিভাগের (সার্টিফিকেশন মার্কস বা সিএম) পরিচালক এস এম ইসাহাক আলী প্রথম আলোকে বলেন, এখন ২১টি কোম্পানি ফ্রুট ড্রিংকের লাইসেন্সধারী। তবে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক নয়। এখন বাধ্যতামূলক করার ফলে ফ্রুট ড্রিংকে ১২ শতাংশ পাল্প রাখতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া পণ্য বাজারে ছাড়া যাবে না।

এদিকে আজ কাউন্সিল সভায় আরও ৩৪টি জেলায় বিএসটিআইয়ের কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বডি। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ুনের সভাপতিত্বে কাউন্সিল সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।